বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলতি বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে খাদ্য সচিব ডক্টর মোসাম্মৎ নাজমানারা খানম জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। চলতি মৌসুমে সরকার ৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান এবং ১০ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাউল সংগ্রহ করা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
গত ৩০ এপ্রিল ডিসিদের দেয়া চিঠিতে খাদ্য সচিব কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে চলতি বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিসিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন। ওই চিঠিতে খাদ্য সচিব উল্লেখ করেছেন বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকের উৎপাদিত ধান ঘরে তোলা ও সরকারি সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। জেলা পর্যায়ে স্থানীয় সংগ্রহ কমিটির সভাপতি হিসেবে ডিসিরা সবসময় সরকারি সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুষ্ঠু পরিকল্পনার নেতৃত্ব দিয়ে খাদ্য দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহায়তা দিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও ডিসিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকের তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য অধিদপ্তরের উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাগণের নিকট হস্তান্তর এবং ইউনিয়ন ওয়ারী লটারির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ; কৃষক নয় এমন ব্যক্তি যাতে তালিকাভুক্ত না হন এবং অন্য কোন মধ্যস্বত্বভোগী যাতে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে না পারে সে বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করবেন।
খাদ্য সচিবের চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কৃষকরা যাতে কৃষকের অ্যাপ ব্যবহার করে ধান বিক্রি করতে পারে সেই জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা ও কৃষক নিবন্ধন এর সহায়তা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাদের নির্দেশনা প্রদান করবেন। এছাড়া চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে মিলের প্রকৃত ছাঁটাই অনুযায়ী বরাদ্দ বিভাজন, মিলারদের সাথে চুক্তি এবং চাল সরকারি গুদামে প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা