করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা টেস্টের নামে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা, জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পিছিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত নতুন সাক্ষ্য গ্রহণের ওই তারিখ ধার্য করেন।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান।মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়।
মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
মামলার অন্য আসামি হলেন সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের প্রধান হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ।
গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন একই আদালত। এর আগে ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ