২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৩৬

বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়িয়ে বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়িয়ে বিল পাস

ফাইল ছবি

দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা নির্ধারণ করে ‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন), ২০২১’ বিল সংসদে পাস হয়েছে। ২০১৬ সালে আইন করে সিভিল কোর্টগুলোর বিচারিক এখতিয়ার বাড়ানো হলেও হাইকোর্ট তা স্থগিত করে দেয়। ফলে নতুন করে আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের একাদশ তথা শীতকালীন অধিবেশনে আজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ১৯ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়। 

বিলে পাঁচ কোটি টাকার কম মূল্যমানের কোনও মামলায় যুগ্ম-জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কোনও আপিল বা কার্যক্রম হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন থাকলে তা জেলা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে পাঁচ কোটি টাকার কোনও আপিল হলে হাইকোর্টে যাওয়া লাগতো। আইন সংশোধনের ফলে জেলা জজ সেই আপিল শুনানি করতে পারবেন।

আগে বিকল্প বিরোধের ক্ষেত্রে একজন সহকারী জজ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের (সম্পত্তি বা অর্থে যে অংকের টাকা নিয়ে বিরোধ) মামলা নিষ্পত্তি করতে পারতেন। এখন সেই এখতিয়ার বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে জ্যেষ্ঠ সহকারী জজের বিচারিক এখতিয়ার চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা এবং আপিল শুনানির ক্ষেত্রে জেলা জজের এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করা হয়েছে।

বিলে ২০১৬ সালের ওই সংশোধন রহিত করে একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সরকার ২০১৬ সালেও টাকার অংকে বিচারিক এখতিয়ার একই পরিমাণ বাড়িয়ে আইন সংশোধন করেছিল। কিন্তু তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন হলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সরকারের ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেয়। 

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের বিলটি নিয়ে উচ্চ আদালতের সঙ্গে সরকারের ‘আউট অব কোর্ট’ সেটেলমেন্ট হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, তারা নতুন করে আইন প্রণয়ন করবে। তখন হাইকোর্ট জানিয়েছে তারা নতুন আইন দেখে আগের বিষয়টির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের সংশোধনী উচ্চ আদালতে বাতিল হওয়ার প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট প্রশাসনিক জটিলতাসহ বিচারপ্রার্থী জনগণের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সরকার আইনটি সংশোধন আবশ্যক মনে করছে।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর