শিরোনাম
- তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
- শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
- হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
- পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
- গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
- মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
- নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
- ‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
- শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
- মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশ
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
প্রবাসে ভূমিকা রাখায় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাচ্ছেন ১২ জন
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
দেশের বিশিষ্ট ১২ ব্যক্তিকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে প্রবাসে বিশ্ব জনমত গঠনে ভূমিকা রাখায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জানা গেছে, শিগগিরই তাদের নামে গেজেট জারি করা হবে। গেজেট জারির পর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকার নির্ধারিত প্রাপ্য সম্মানী ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন তারা। এদিকে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চললেও এখনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের।
বিশিষ্টজন বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রবাসে কাজ করা ব্যক্তিদের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ভূমিকা পালনকারীদেরও স্বীকৃতির আওতায় আনতে হবে। অবশ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ২০১৮ সালে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে দেশের অভ্যন্তরে সংগঠকের ভূমিকায় থাকা ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কার্যপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৩১ মে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) এক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এতে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করায় ওই ১২ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়।
তারা হলেন বর্তমানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বরিশাল সদরের সুলতান মাহমুদ শরীফ, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সন্তান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হক, দৈনিক মানবকণ্ঠের সাবেক সম্পাদক সদ্য প্রয়াত জাকারিয়া চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান, বিশিষ্ট গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সন্তান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, পাট ও পাটজাত দ্রব্য ব্যবসায়ী আবুল খায়ের নজরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট সিলেটের অম্বরখানার সন্তান মাহমুদ আব্দুর রউফ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী (কায়সার) ও হবিগঞ্জ জেলা আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর আফরাজ আফগান চৌধুরী।
তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং পাকিস্তানি গণহত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তারা তৎকালীন যুক্তরাজ্য ছাত্র সংগ্রাম পরিষদেরও সদস্য ছিলেন। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে যারা পাকিস্তানি গণহত্যার বিপক্ষে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের সরকার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। যেসব আবেদন পাওয়া গেছে তার মধ্যে থেকে ১২ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। আরও যেসব আবেদন আমাদের কাছে আছে সেগুলোও বিধি অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তবে নতুন করে আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।'
দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালনকারীদের স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'বিষয়টি আমরা দেখব। প্রয়োজনে আইনও সংশোধন করা হবে।' মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রবাসে ভূমিকা রাখার জন্য এর আগে ২০১৯ সালে প্রথম নরসিংদীর আজিজুল হক ভূঁইয়াকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য শাখা স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ছিলেন।
প্রবাসে ভূমিকা পালনকারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াকে স্বাগত জানিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গণমাধ্যমকে বলেন, 'স্থপতি এফআর খান, অধ্যাপক এনায়েতুর রহিম, নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস, মানবাধিকারকর্মী নাফিসা কবীরসহ আরও অনেকেই একাত্তরে প্রবাসে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদেরও স্বীকৃতির আওতায় আনতে হবে। এখানে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ব্যক্তির ভূমিকাকেই প্রাধান্য দিয়ে স্বীকৃতি দিতে হবে।'
দেশের অভ্যন্তরে ভূমিকা পালনকারীদের বিষয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, কবি সুফিয়া কামাল, শহীদ শরীফুল আলম ইমাম আহমেদ, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, স্থপতি শামসুল ওয়ারেসসহ আরও অনেক ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানাভাবে ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের স্বীকৃতির বিষয়েও সরকার অচিরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তার মতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা পালনকারীদের স্বীকৃতির প্রশ্নে আইন কোনো বাধা হতে পারে না।
সূত্র : সমকাল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
এই বিভাগের আরও খবর