বিদেশ যাত্রার বাধ্যতামূলক পূর্বশর্ত কোভিড ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন কর্মসূচির আওতায় আনার অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের এই প্রতিকূল সময়ে নিরাপদ রাখার স্বার্থে সহজ ও স্বাচ্ছন্দে পরিচালিত ডিজিটাল প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন করছে। এই প্রক্রিয়ার একটি কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আমি প্রবাসী অ্যাপ, যা ঘরে বসে নিশ্চিত করছে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন।
এতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন সাপেক্ষে প্রবাসী কর্মীরা সুরক্ষা অ্যাপে লগ ইন করে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। বিদেশগামী বা প্রবাসী পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর-বিএমইটি নিবন্ধন বাঞ্জনীয়, যা এখন ঘরে বসেই আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি a2i আয়োজিত ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঞ্চালনায় এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে উপস্থাপনের লক্ষ্যে একটি ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ (বিএমইটি) ব্যুরোর মহাপরিচালক শহিদুল আলম উপস্থিত থেকে উপস্থাপনায় অংশগ্রহণ করেন এবং উপস্থিত সকল মিডিয়া, প্রযুক্তিবিদ ও এই সেক্টর বিশেষজ্ঞদের মতামত ও প্রশ্নের জবাব দিয়ে এই পুরো ডিজিটাল প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা তুলে ধরেন।
টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষার পাশাপাশি আমি প্রবাসী অ্যাপে নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং বিএমইটি মহাপরিচালক শহিদুল আলম জানিয়েছেন, দেশে পাসপোর্টধারী কোটি মানুষ রয়েছে, তাদের মধ্যে কারা বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছে, তা বিএমইটি নিবন্ধন ছাড়া নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই এই নিবন্ধন, যা আমি প্রবাসী অ্যাপ দ্বারা খুব সহজেই সম্পন্ন হচ্ছে।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ এই অ্যাপের উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেন যে, আমি প্রবাসী খুব অল্প সময় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ২০ হাজারের বেশি বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে, যা প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে সফলভাবে পরিচালনায় সাহায্য করবে।
পুরো প্রক্রিয়াতে যাতে কোনো ভুল ধারণার সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে আমি প্রবাসী প্রতিষ্ঠাকারী ম্যানেজমেন্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুরো প্রক্রিয়াটি তুলে ধরেন-প্রথমে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আমি প্রবাসী অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর অ্যাপে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী স্ক্যানার-এর মাধ্যমে পাসপোর্টটি সঠিকভাবে স্ক্যান করে নিতে হবে। প্রদত্ত তথ্য পাসপোর্ট ডাটাব্যাংক দ্বারা ভেরিফিকেশনের জন্য যাবে। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে। এরপর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাবে।
পরবর্তী সময়ে সুরক্ষা অ্যাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি নিবন্ধিত হবে। বিএমইটি-তে নিবন্ধন নিমিত্তে শুধুমাত্র আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কোভিড ভ্যাক্সিন রেজিস্ট্রেশন সম্ভব নয়।
গত ৮ মে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি ও আমি প্রবাসী ম্যানেজমেন্ট সমন্বিতভাবে অ্যাপটি একটি ভার্চয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। এই অ্যাপটি প্রস্তুতকরণে নেতৃতে ছিলেন বাংলা-ট্র্যাক গ্রুপের মহাপরিচালক তারেক একরামুল হক ও পরিচালক নামির আহমদ নূরী। অ্যাপটি প্লে স্টোরে ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যাবে- http://www.amiprobashi.com/a
বিডি প্রতিদিন/এমআই