রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় গাড়ি ছাড়তে ‘দেরি হওয়া’কে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে খিলগাঁও রেলগেট ক্রসিংয়ের দক্ষিণ পাশে দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক বিভাগের এক কনস্টেবল। ওই সময় তিনি উত্তর দিকের যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সিগন্যাল দেন। এতে একটি প্রাইভেটকার থামলে গাড়ির আরোহী ক্ষিপ্ত হয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
পরে বিকাল ৩টার দিকে ওই ব্যক্তি ৬-৭টি মোটরসাইকেলে প্রায় ১০-১২ জন লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এলোপাতাড়ি মারধরের শিকার হন ট্রাফিক কনস্টেবল। পাশে থাকা বিট পুলিশ কর্মকর্তা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
ঘটনার পর বেতার বার্তার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে খিলগাঁও থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় মো. আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়, তবে বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আনোয়ারসহ আরও দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় পুলিশের ওপর হামলা, দায়িত্ব পালনে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, খিলগাঁওয়ে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মুগদা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ