বর্তমান সরকার করোনায় বহু আগে থেকেই আক্রান্ত এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,'সরকার এখন ভেন্টিলেশনে রয়েছে। আর এই ভেন্টিলেশন খুলে দিলেই তারা পরে যাবে।
বুধবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ থানা বিএনপির উদ্দ্যেগে করোনা হেল্প সেল করোনা চিকিৎসা ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে কি আন্দোলন করবো। আমি বললাম এই সরকার ভেন্টিলেশনে রয়েছে। এই ভেন্টিলেশনটা খুলে গেলে সরকার আর থাকবে না। ওরা আতঙ্কে রয়েছে। ওদের প্রাপ্তির কোন বিষয় নেই। ওদের হারানোর কিছু নেই। সর্বহারার হারানোর কিছু আছে? যদি আমাদের হারানোর থাকে হয়তো পরনের কাপড়টা হারানোর আছে, কিন্তু ওদের হারানোর কিছু নেই।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, রাজনীতিবিদদের বড় কাজ হচ্ছে জনসেবা। আর জনসেবার বৃহত্তর লক্ষ্যে রাজনৈতিক সহযোগিতার দরকার হয়। কিন্তু জনসেবা থেকে কোনো রাজনীতি জনগণ কখনোই গ্রহণ করে না। জনগণের যে অধিকার সেই অধিকারের মধ্যে চিকিৎসা অধিকার মৌলিক অধিকার। জনগণের অধিকার খাদ্য মৌলিক অধিকার। শিক্ষা মৌলিক অধিকার।
সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন,'যেসব কথা পরীমণিরা বলেন, এসব কথা বললে এরা তো বোরকা পরারও সময় পাবে না। এই সরকারের এমন এমন লোক আছে এরা বোরকা মুরো দেবারও সময় পাবে না।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রয়োজনে একাধিক হেল্প সেন্টার খুলতে হবে। ওষুধ বিতরণের ক্ষেত্রে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বিনা পরামর্শে কাউকে ওষুধ দিলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন মাস্টার, কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত