রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ভাঙ্গা থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ৭১ ভাগ ও ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪০ ভাগ রেলওয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুর সড়ক যোগাযোগের সাথেই রেলপথ খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ট্যাকনিক্যাল কারণে সেটা বিলম্ব হলে দ্বিতীয় একটি পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা টু ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু হবে।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২ টায় মুন্সিগঞ্জ প্রান্তের লৌহজংয়ের কাজীর পাগলা থেকে পদ্মাসেতু পর্যন্ত পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সেতুর সাথে সংযুক্ত সকল কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেতুর উপর ভিত্তি করেই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সেবা দক্ষিণাঞ্চালে যাচ্ছে। সড়ক পথকে অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হচ্ছে। সেতুই হচ্ছে সড়ক পথ।
তিনি আরও জানান, পদ্মাসেতুতে সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মার্চের আগে রেলপথের কাজ শুরুর অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সেতু কর্তৃপক্ষ। রেলপথের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৬ মাস। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধন নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
‘তবে আমরা চেষ্টা করছি, সেতু কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে। যেন দুটি কাজ একসাথেই শেষ করা যায়। সড়ক চালু হয়ে গেলে রেলপথ নির্মাণ করা কষ্টকর হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সেতুতে যান চলাচল শুর করলে যে ভাইব্রেশন বা কম্পন হবে তাতে রেলপথের ঢালাইয়ের জটিলতা হবে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথের ৪৩.৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে। আর আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হবে বলেও জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান, লৌহজং উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, পদ্মা সেতুর নিবার্হী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের প্রমুখ। এ ছাড়াও রেলওয়ের বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেতু বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩৯,২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এই পথে ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪ টি নতুন এবং ৬টি বিদ্যমান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল