স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অসত্য তথ্য মানুষ ও সমাজকে ভুল পথে চালিত করে। অন্যদিকে, সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য গঠনমূলক মত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। অসত্য তথ্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বৃহত্তর সমস্যা ডেকে আনে। এই সমস্যা সমাধানে দারিদ্র্য, অসমতা, লিঙ্গ বৈষম্য ইত্যাদি নিরসন জরুরি। এ জন্য প্রচলিত ধারণা, মানসিকতা ও চিন্তাধারার পরিবর্তন দরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শক্তিশালী পারিবারিক কাঠামো যথাযথ শিক্ষার জন্য জরুরি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলমান ৫ম ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ স্পিকার্স অফ পার্লামেন্ট’ আয়োজিত ‘কাউন্টারিং মিসইনফরমেশন এন্ড হেইট স্পিচ রিকয়ার্স স্ট্রঙ্গার রেগুলেশন্স’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় এসব কথা বলেন তিনি ।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় মঙ্গলবার রাতে এ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আর্জেন্টিনা সিনেটের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া লেদেসমা আবদালা, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের পার্লামেন্টারি এসেম্বলির প্রেসিডেন্ট রিক ডিমস, নাইজেরিয়া হাউজ রিপ্রেজেনটেটিভ স্পিকার ও. হাকিম গাজাবিয়ামিলা, রোমানিয়া সিনেটের প্রেসিডেন্ট আনকা ডানা ড্রাগু প্রমুখ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাক ও মতপ্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সত্য প্রচারে অধিকতর কার্যকর ও উদ্ভাবনী সমাধান অন্বেষণ করতে হবে। বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া না গেলে অধিকতর শক্তিশালী আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।
সভায় বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি, রুমানা আলী এমপি,
গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন