বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে এই অনুরোধ জানান তারা। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ, সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান, উকিল আব্দুস সাত্তার, আমিনুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন।
এতে সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পাওয়া, না পাওয়ার বিষয়টি। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে সব বিরোধী দল ও মানুষের মধ্যে যে উদ্যম সৃষ্টি হবে তা দমন করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছেন।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা মওকুফ করেছে। লক্ষ্মীপুরের খুনের আসামিদের সাজা মওকুফ করেছে সরকার। নাটোরের কামাল হত্যার আসামিদের সাজা মওকুফ করেছে। আজ দেশে আইনের শাসন থাকলে খালেদা জিয়ার জামিন হতো।’
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া আহ্বান জানিয়ে হারুন বলেন, ‘এর ব্যতিক্রম কোনো কিছুই আমরা মানব না, মানব না। খালেদা জিয়ার মুক্তি না দিলে আমরা (বিএনপি) সংসদ সদস্যরা থাকব কি না, তা চিন্তাভাবনা করব।’
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘খালেদা জিয়া হেঁটে কারাগারে গিয়েছেন। গত তিন বছর তিনি সরকারের হেফাজতে ছিলেন। আওয়ামী লীগের হেফাজতে ছিলেন। তিনি নিজের হেফাজতে ছিলেন না। গত তিন বছরে সরকার তাকে সঠিক চিকিৎসা দেয়নি। আজ দেশনেত্রীর এ অবস্থার জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সামান্য হাঁচি-কাশি হলে রাষ্ট্রপতি চিকিৎসার জন্য আমেরিকা, জার্মানিতে চলে যান। আর আমাদের সরকার বলে উনার (খালেদা জিয়া) বেস্ট চিকিৎসা নাকি বাংলাদেশে হচ্ছে। যদি বাংলাদেশে বেস্ট চিকিৎসা হতো তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাদের কেন ভারতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’
‘খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন’ উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘উনার কিছু হলে পুরো দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ বলেন, ‘আইনমন্ত্রী বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। তাকে বিদেশে যেতে হলে কারাগারে গিয়ে আবেদন করে জামিন নিয়ে যেতে হবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই কেন তাকে জেলে যেতে হবে। তিনি এখন যেখানে আছেন, গুলশানের বাসভবনে; সেটাকে সাব-জেল ঘোষণা করা হোক। সেখানে থেকে আবেদন করে তাকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে। সরকার আমাদের কী দেখায়?’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ