৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:০১

পদত্যাগে করুণ বিদায় মুরাদের

জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি, নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পদত্যাগে করুণ বিদায় মুরাদের

অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। গতকাল বেলা ৩টায় পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দফতরে জমা দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাশেম। এরপর তা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দফতরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। অনুমোদনের পর  রাতেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদত্যাগপত্রটি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গ্রহণ করেছেন।

এদিকে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে দলীয় পদ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে জামালাপুর জেলা আওয়ামী লীগ। তিনি স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থাকবে কি না তা দলের পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রায় অভিন্ন তথ্য দিয়ে দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।’ এদিকে মুরাদ হাসানের পদত্যাগের খবরে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তারা।

ভুলভাল পদত্যাগপত্র : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় ইমেইলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো ওই পদত্যাগপত্রে মুরাদ বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মের স্মারকমূলে আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমি অদ্য ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায় আপনার নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের লক্ষ্যে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।’ পদত্যাগপত্রেও ভুল লিখেছিলেন মুরাদ। ২০১৯ সালে তাকে দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও পদত্যাগপত্রে তিনি ২০২১ উল্লেখ করেন। তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দফতরে পাঠানো পদত্যাগপত্রে সে ভুল সংশোধন করে ২০২১ সালের জায়গায় কলম দিয়ে কেটে ২০১৯ সাল করে জমা দেওয়া হয়।

পদত্যাগপত্র গৃহীত, প্রজ্ঞাপন জারি : গত সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পাঠানো পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাঁর অনুমোদনের পর রাতেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর ফলে মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়লেন বহুল বিতর্কিত ডা. মুরাদ হাসান।

সচিবালয়ে আলোচনায় মুরাদ : তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগের বিষয় ছিল গতকালের ‘টক অব দ্য সেক্রেটারিয়েট’। সচিবালয়ের সর্বত্রই ছিল তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের আলোচনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ছিল গণমাধ্যমকর্মীর ভিড়। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুখে মুখে ছিল মুরাদ হাসানের পদত্যাগের মুখরোচক আলোচনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে পারদর্শী এই প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়ায় খুশি হয়েছেন বেশির ভাগ মানুষ। এ কারণে সচিবালয়ে কর্মরত অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই জানেন কখন, কাকে, কীভাবে বিদায় করতে হবে। এ ধরনের বিদায় তার প্রাপ্য ছিল।’

মুরাদের পরিবর্তন দেখেছিলেন তথ্যমন্ত্রী : মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়ার পরই নিজ দফতরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ডা. মুরাদ হাসান আমাকে সব সময় সহযোগিতা করে এসেছেন। কয়েক মাস ধরে তার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। তার কিছু বক্তব্য-ঘটনায় আসলে সরকার ও দল বিব্রত হয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। সে অনুযায়ী তার সাইন করা পদত্যাগপত্র একটু আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়ে গেছেন তার পিআরও। তার সব ঘটনা, পুরো বিষয়টি আসলে দুঃখজনক। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন। সেজন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করি।’

দলে প্রাথমিক সদস্য পদের সিদ্ধান্ত ওয়ার্কিং কমিটিতে : এদিকে সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ। আর দলের প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করা হবে কি না এ সিদ্ধান্ত হবে দলের পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটিতে। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করা হবে কি না, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সেন্ট্রালি (কেন্দ্রীয় কমিটি) সিদ্ধান্ত নেব। পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেব। যেভাবে গাজীপুরের মেয়র এবং ওই মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তার (মুরাদ হাসান) বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’ সংসদীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘সেটি পরের ব্যাপার। এখন আপাতত যেটি হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরে যেতে হলো। দলেও একটা পদে ছিলেন, সেখানেও অব্যাহতি পাচ্ছেন। এমপি পদে থাকার বিষয়েও যদি সে রকম গুরুতর কোনো অভিযোগ আসে, সেটি সংসদের স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’

জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি : প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে এক ‘জরুরি’ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট, অগঠনতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে’ মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে পাঠানো হবে। এর আগে বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী এক ভিডিওবার্তায় জানান, ‘ডা. মুরাদ হাসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আহত করেছে। এমনকি দেশের সুধীসমাজ এতে আহত হয়েছে। সেজন্য আমরা জামালপুরবাসী লজ্জিত, জামালপুরবাসী দেশবাসীর কাছে লজ্জিত। এ কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে ধিক্কার জানাই।’

নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগের খবরে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মুরাদ হাসানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। গতকাল দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলায় পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে শিমলা বাজার থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাস টার্মিনাল সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আল-আমিন হোসাইন শিবলুর নেতৃত্বে অন্য একটি মিছিল আরামনগর বাজার ট্রাকস্টেশন থেকে শুরু হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে শেষ হয়। এ ছাড়া উপজেলার তারাকান্দি শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।

মুরাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও গ্রেফতার দাবি : সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল এবং নারী ও বর্ণ বিদ্বেষী বক্তব্য প্রদান ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ায় তার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। সমাবেশে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ কোন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে দেশের একজন শীর্ষ চলচ্চিত্র নায়িকাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছেন, কিন্তু তিনি (ওই নায়িকা) মুখ খুলতে পারেননি। দেশে কত ভয়াবহভাবে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হলে এ রকম হতে পারে!’ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘মুরাদকে শুধু মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করলে হবে না। বরং নৈতিক স্খলনের দায়ে তার সংসদ সদস্য পদও কেড়ে নিতে হবে।’

চুপিসারে চট্টগ্রামে মুরাদ : চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সরকারি প্রটোকল না নিয়ে চুপিসারে চট্টগ্রাম আসেন ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করেন মহানগরের অভিজাত হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে। সোমবার গভীর রাতে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান। রেডিসন ব্লু বে ভিউ হোটেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা রাফাত সালমান বলেন, ‘সোমবার দুপুরে ডা. মুরাদ হাসান হোটেলে আসেন। কয়েক ঘণ্টা কক্ষে অবস্থান করেন। মধ্যরাতে কক্ষ চেক আউট করেন।’ চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, ‘ভিআইপিরা আসার আগে শিডিউল পাঠান। সে অনুযায়ী ওনাদের প্রটোকল দেওয়া হয়। কিন্তু তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আসা নিয়ে কোনো শিডিউল পাইনি। তাই সরকারি নিয়মে প্রটোকল দেওয়া হয়নি।’

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর