বেশকিছু দিন ধরে বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অভিযোগ করছিলেন যাত্রীরা। এ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ জানিয়েছে, ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে যাওয়া-আসার টিকিটের দাম মূলত ৬৭ হাজার টাকা। এখন ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায়ও বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমানের অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট প্রতি টিকিটে ২০ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে। মাসে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করে যাত্রীদের পেটে লাথি মারছে ওই ‘সিন্ডিকেট’।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে সংগঠনটি।
সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, হজ এবং ওমরাহ মৌসুম এলেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম ‘অনৈতিকভাবে’ বাড়ানো হয়। এর পেছনে বিমানের কয়েকজন ‘দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত’।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নাসের।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে বিমানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০টি আসন খালি যাচ্ছে।
আবদুল্লাহ আল নাসের বলেন, দুই বছর ওমরাহ বন্ধ থাকার পর মাত্র তিন মাস আগে চালু হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরাহ পালন করতে দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু গুটিকয়েক ট্রাভেল এজেন্সি অবৈধভাবে বিমানের মতিঝিল বিক্রয় কার্যালয়ের কিছু ‘অসাধু কর্মকর্তার’ মাধ্যমে শত শত টিকিট বরাদ্দ নিয়েছে। এতে ঢাকা-জেদ্দা রুটে এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ওই কার্যালয়ের খাতা ও কম্পিউটার পরীক্ষা করা হলে এজেন্সির নামে বরাদ্দ করা টিকিটের হিসাব পাওয়া যাবে। এতে কোটি কোটি টাকা অবৈধ আয়ের তথ্যও বেরিয়ে আসবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে বিমানের মতিঝিল কার্যালয়ে অভিযান চালাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন