রোমানিয়া থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক ঢাকায় ফিরেছেন। কিন্তু ফিরেননি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান। তবে বিমানবন্দরে এসেছিলেন হাদিসুর রহমানের স্বজনরা।
বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাদিসুর রহমানের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমার ভাই গো। আমার ভাই আর নেই। আমার ভাই আর নেই। সবার ভাই আসলো, আমার ভাই কই?
হাদিসুর রহমানের বাড়ি বরগুনার বেতাগিতে। তার চাচাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার বলেন, আমাদের দাবি আমরা যাতে ভাইযের মরদেহটা সঠিকভাবে বুঝে পাই। হাদিসুর ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার ছোট দুই ভাইকে যদি সরকার কোনো চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় তবে পরিবাটির জন্য ভালো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই আমাদের চাওয়া।
গত ২ মার্চ ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত