আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জানিয়েছে, ‘২০২০ সালের প্রথম দিকে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর থেকে বয়স্ক কর্মীদের তুলনায় ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, যা করোনা মহামারির আগের চেয়ে ৬০ লাখ বেশি। আর বাংলাদেশে এ তরুণ বেকারের সংখ্যা ১০ দশমিক ৬ শতাংশ।’
‘দ্য গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আইএলও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বাংলাদেশি তরুণদের বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ হলেও, কোভিড মহামারির কারণে বেকারত্ব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, দেশের ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণের সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৮১১, মোট জনসংখ্যার ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
আইএলও’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের হার দাঁড়াতে পারে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশে। এটি বৈশ্বিক হারের সমান। তবে এই অঞ্চলের সব দেশের অবস্থা এক নয়।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় চারজন তরুণের মধ্যে একজনের শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই। ২০২২ সালের মধ্যে উচ্চ দেশগুলো প্রাক-মহামারি পর্যায়ে যেতে পারলেও নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে তরুণ বেকারদের সংখ্যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ২০২২ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ‘পুরুষদের তুলনায় নারীদের অবস্থা আরও শোচনীয় হতে পারে। ২০২২ সালে সারা বিশ্বে যেখানে পুরুষদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ সেখানে নারীদের ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ