১৬ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৫৭

পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলার চার্জশুনানি পেছাল

অনলাইন ডেস্ক

পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলার চার্জশুনানি পেছাল

প্রশান্ত কুমার হালদার

৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশুনানির তারিখ পিছিয়েছে।  

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলায় চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী চার্জশুনানির জন্য সময় আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে চার্জশুনানির জন্য আগামী ২৯ আগস্ট দিন ঠিক করেন।

দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।

গত ৭ জুলাই এই মামলার পলাতক ১০ আসামিকে হাজিরে জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তির কপি আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন।  

বদলি আদালতে চার্জশুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল।  

মামলার ১৪ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক। আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।  

চার্জশিটভুক্ত অপর চার আসামি কারাগারে আছেন। ওই আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।  

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়।  

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর