বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হলে বিএনপি ও অন্য দলগুলো বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এবার আমরা অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীনসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তান সরকার থেকে বর্তমান সরকার আরও নিকৃষ্ট উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবন যাত্রার দিক থেকে এর থেকে ভালো ছিলাম। তারপরেও পাকিস্তান সরকার যেহেতু আমার অধিকার ও সম্পদ হরণ করতো সে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন তার থেকেও খারাপ অবস্থায় আছি।
বাংলাদেশের জনগণের বেচেঁ থাকা এখন খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সহ শিক্ষা, চিকিৎসাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে ফেলা হয়েছে। মানুষ এখন জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে বিএনপির সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি এখনো চলেছে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যেদিন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল ও সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে তখন থেকে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব তিনি বলেন, যখন একটি সরকার জনগণের সমর্থন হারায় কিন্তু তারা রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকে এবং নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় যায় সেটি হলো হাইব্রিট রিজিম। এই হাইব্রিট রিজমের দ্বারা সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। বিএনপি পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
দেশে এখন সুশাসন নেই, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নেই, তারা মেগা প্রজেক্টের নামে যা খুশি তা করছে। বাংলাদেশ আজকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ যা যা করা প্রয়োজন তাই করে যাচ্ছে, যেখানে জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন এক সময় ১৯৭১-এ পাকিস্তান ২২ পরিবার ছিল কোটিপতি আর এখন দেশ স্বাধীনের পর দেশে ১লক্ষ্য ৯২ হাজার কোটিপতি রয়েছে। যে দেশে ৪২ % এর নিচে মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে সে দেশকে উন্নত বা মধ্য আয়ের দেশ বলা যায় না। দেশে এখন কারো নিরাপত্তা নেই, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করে এই সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর