বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বর্তমানে দেশে যে আলামত ও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এতে এক মুহূর্ত ভাবার উপায় নাই যে এ সরকার টিকবে। সরকার যে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সে আলামত তারা বুঝতে পেরেছে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, ফয়সালা ১০ তারিখে হতে পারে আগেও হতে পারে। গণঅভ্যুত্থান যে হবে এটা নিশ্চিত থাকেন। তার আলামত ও লক্ষণ আপনি যদি রাজনীতি করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন গণঅভ্যুত্থান হওয়ার আলামতগুলো। বর্তমান যে আলামত ও লক্ষণ এতে এক মুহূর্ত ভাবার উপায় নাই যে এ সরকার টিকবে। সরকার যে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সে আলামত তারা বুঝতে পেরেছে। তাই আগামী দিন বিএনপির দিন। বেগম খালেদা জিয়ার কর্মীদের দিন। তারেক রহমানের কর্মীদের দিন। স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মীদের দিন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন একটা শাসন ব্যবস্থা আমরা প্রত্যক্ষ করছি যা গত ৫১ বছরে আমরা দেখিনি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, আদর্শহীন রাজনীতিবীদ এদের যে দাপট এ এক অভাবনীয় ঘটনা। সরকার আশ্রিত কিছু সাংবাদিক তারা সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যা কে সত্য বানাচ্ছে।
দুদু আরো বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জীবনে কোনো নির্বাচনে হারেননি। এরকম একজন ব্যক্তিকে তথাকথিত মামলায় সাজা দিতে হবে এরকম রাষ্ট্র পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। তিন থেকে চারটি বছর তাকে জেলখানায় রাখা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ খুনিরা জামিন পেয়ে বিদেশে চলে যায়। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় না।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান খুব সাধারণ জীবনযাপন করে। বর্তমান আওয়ামী লীগের নেত্রী বিরোধী দল থাকা অবস্থা থেকেই আমাদের নেতার বিরুদ্ধে এমন কোন অপপ্রচার নাই যে তিনি করেন নাই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, জাতীয় সরকারের অধীনেই হোক আর নির্দলীয় সরকারের অধীনে হোক, যদি প্রধানমন্ত্রীর আসনে শেখ হাসিনা না থাকে আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার ধারণা গোপালগঞ্জ থেকেও তারেক রহমান জিতবে।
দুদু বলেন, পুলিশ প্রশাসনে যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হবে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তাদের শুধু চাকরি ফেরত দেওয়া হবে না যথাযথ ক্ষতি পূরণও দেয়া হবে। আর যারা আমাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে নির্যাতন করছে মামলা দিচ্ছে জেলখানায় নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, একটা বিষয় ফয়সালা হয়েছে বিএনপির কর্মীরা এখন আর ভয় পায় না। গত ছয়টা সমাবেশে তা প্রমাণিত হয়েছে। আগামীকাল সিলেটের সমাবেশে জনসমুদ্র হবে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া আনোয়ার, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ইয়ূথ ফোরামের মুহাম্মদ সাইদুর রহমান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত