শিরোনাম
৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৭:১৭

হুমকি দিয়ে সরকার পতন করা যাবে না : ওবায়দুল কাদের

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

হুমকি দিয়ে সরকার পতন করা যাবে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। তবে এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ইতিমধ্যে আমাদের নেত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে বলেছেন। আসছে নির্বাচনে এটা হবে আমাদের প্রধান স্লোগান।

শনিবার দুপুরে ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। 

ঢাকা সিটি আমাদের দখলে থাকবে এমন হুঙ্কার দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই তারেক রহমান গতকালও ঢাকায় এক ক্যাডারের সাথে কথা বলেছে। সেই কথোপকথন হয়তো আপনারা শুনেছেন। সেখানে বলা হয়েছে-‘তোমরা রাস্তা ছাড়বে না। হাসিনা পালাবার পথ খুঁজছে। হাসিনার মন্ত্রীরা পালাবার পথ খুঁজছে। তোমরা রাস্তা ছাড়বে না।’ 

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হুমকি দিয়ে সরকার পতন করা যাবে না। আগামী নির্বাচনে খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আর এই ডিসেম্বরেই খেলা হবে। আন্দোলন হলে রাজপথ, জনপথ, শহর, পাড়া-মহল্লা ইউনিয়ন ও জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিবে। 

তিনি আরও বলেন, কামাল সাহেব বলেন অর্থ পাচারের কথা। কিন্তু তারেক রহমানের অর্থ পাচারের দায়ে যে দণ্ডিত সেই কথা বলেন না। ইহুদি জামাতার মাধ্যমে অর্থ পাচার করে কামাল হোসেন। বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্য পুরুষ তিনি। তারেক রহমানের পাচার করা টাকা সুইচ ব্যাংকে যারা রেখেছেন তারা যে দলেরই হোক শাস্তি পেতে হবে। সবার অর্থের উৎস খোঁজা হচ্ছে। শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এই বার্তা দিয়ে গেলাম।

মহাসমাবেশ কাকে বলে চট্টগ্রামে বুঝিয়ে দিব উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,  রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হচ্ছে, অথচ জনসমাগম নেই। সমাবেশস্থল ফাঁকা। আর ময়মনসিংহে একটি মাত্র জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এখানে জনতার ঢল। তিল ধারণের ঠাঁয় নেই। লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ময়মনসিংহ এই সম্মেলনে। 

তিনি বলেন, বিএনপির কুমিল্লার সমাবেশ থেকে ৭১টি মোবাইল চুরি হয়েছে। এর জন্য ৭১টি মামলা করেছে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপি। চুরি করলো কারা বিএনপি। এভাবেই তারা ভোট চুরি করে। জনগণের অর্থ চুরি করে, লুটতরাজ করে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত’র সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, দলের যুগ্ম সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, অ্যাড. মোসলেম উদ্দিন এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি, ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল এমপি, জুয়েল আরেং এমপি, কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু এমপি, মনিরা সুলতানা মনি এমপি, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে সম্মেলনকে সফল করতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও মিছিল নিয়ে দলে দলে সভাস্থলে যোগ দেন। একপর্যায়ে সম্মেলনস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, সম্মেলনের মাধ্যমে দলের ত্যাগী নেতা বেরিয়ে আসবে। যারা আগামী দিনের লড়াই-সংগ্রাম ও আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর