জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলার ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আসামিপক্ষে আব্দুর রাজ্জাক ও এস এম কামাল উদ্দিন সহ প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। এসময় রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু আসামির জামিনে বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে আরাকানে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জিহাদের উদ্দেশ্যে রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত। পরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ‘আরএসও’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, তারা সবাই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। গত ৬ নভেম্বর তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে গ্রেফতার তিনজন ডা. রাফাতসহ অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট এলাকা থেকে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত