বেসরকারি সংস্থা আরণ্যক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিকল্প সুরক্ষা কর্মকৌশল প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। সংগঠনটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ বন বিভাগের সুফল প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বন ভবনে আরণ্যক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আইডেন্টিফিকেশন অব ওইসিএম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ৪৫টি আদার ইফেক্টিভ এরিয়া-বেজড কনসারভেশন মেজারস (ওইসিএম) চিহ্নিতকরণ, বাছাই ও নির্বাচনের জন্য একটি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করা হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। তিনি বলেন, ওইসিএমএর সফল বাস্তবায়ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দেশের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতিগুলোর আলোকে ওইসিএম প্রণয়ন করার আহ্বান জানান তিনি। সচিব বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে, তাই তাদের স্বীকৃতি দেওয়াটা জরুরি।
একই প্রসঙ্গে কর্মশালার বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উৎসাহীত করতে হবে। ওইসিএম যাচাইকরণ প্যানেলে জীববৈচিত্র ও ওয়াটারশেড বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন অতিরিক্ত সচিব।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। ওইসিএম কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ লক্ষ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বেসরকারি খাত ও সরকারি কর্মকর্তাদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল বলেন, সংশ্লিষ্ট বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের স্বাভাবিক সংরক্ষণ করাই ওইসিএম’র মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে পুরো বিশ্বে মোট ৮২৯টি ওইসিএম রয়েছে বলে জানান তিনি।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন, ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি (ডব্লিউসিএস) বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার এলিজাবেথ ফাহরনি মানসুরসহ বন বিভাগ, পরিবেশ বিভাগ, বিশ্বব্যাংক, ইউনাইটেড স্টেটস ফরেস্ট সার্ভিস, সিএনআরএস এর জ্যেস্ঠ কর্মকর্তারা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল