শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের সেন্টমাটিন দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় মোখার এখনো কোন প্রভাব দেখা যায়নি, তবে সেন্টমাটিন দ্বীপে আত্মীয় স্বজনদের কাছে বেড়াতে যাওয়া ও বাহির থেকে ব্যবসায়ীক কাজে আসা কিছু সংখ্যক মানুষ টেকনাফ ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন,উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার সেই পরিস্থিতি এখনও হয়নি। তবে দ্বীপবাসীকে সতর্ক থাকতে মাইকিং করে প্রত্যেক গ্রামে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। দ্বীপে আশ্রয়কেন্দ্রসহ হোটেলগুলোর পাশাপাশি দ্বীপে সিপিপির ১৩শ’ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছু লোক আগে থেকে এখানে ব্যবসায়ীক কাজে বা আত্মীয় স্বজনদের কাছে বেড়াতে এসেছিল তারা দ্বীপ ছেড়ে গেছে বলে শুনেছি।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট নৌ পরিবহন সংগঠনের লোকদের বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দ্বীপের মানুষ অতীতেও বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করে এসেছে। আমরা সব সময় যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি। তবে এই দ্বীপে টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে ব্যবসায়ীক কাজে ও শ্রমিক হিসাবে আসা লোকজন গতকাল ও আজ সকালে সার্ভিস ট্রলারে করে তাদের বাড়িতে ফিরে গেছে। তবে দ্বীপের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোবাবেলায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবির সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবং সেখানে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছেন। সেন্টমাটিন ও শাহপরীর দ্বীপে হোটেল-মোটেল ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হটলাইন খোলা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের প্রস্তুত রাখা আছে। বিশেষ করে দুই দ্বীপের (সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে) বাসিন্দাদের সচেতনতার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আগে থেকে বলে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল