২৭ মে, ২০২৩ ১৮:২০

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা আওয়ামী লীগ : ড. মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা আওয়ামী লীগ : ড. মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে আগামী নির্বাচনে যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দিবে তাদের ভিসা দেয়া হবে না। আর বাধা দানকারীরা হলো আওয়ামী লীগ। 

শনিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. মোশাররফ হোসেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি 
এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা আছে, গায়ের জোরে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিছে, আমাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী বাধা দিচ্ছে। 

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ভালো করে জানে-জনগণ দিনের বেলায় ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় সম্ভব নয়, তাই আজ বিদেশিরাও তাই মনে করছে, বিদেশিরা দাবি তুলেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। 

তিনি আরও বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ হরণ করছে, এদেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই অর্থনীতি আর মেরামত করা সম্ভব নয়। আজকে গরীব মানুষ না খেয়ে আছে, মধ্যবিত্ত গরীব হয়ে গেছে।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনরত কোন দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দিবে না। 

তিনি আরো বলেন, আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে আগামী নির্বাচনে যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দিবে তাদের ভিসা দেয়া হবে না, আর বাধা দানকারীরা হলো আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণ কোনকিছুই নিরাপদ নয়। এরা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে।

তিনি বলেন, এদেশে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের কোন বিকল্প নেই। আমরা আশাবাদী, জনগণ প্রস্তুত, অচিরেই গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়ে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এই সরকার সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, দেশের আকাশ আজ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি, ঝড় আসতেছে, এই সরকার উড়ে যাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে রাজপথে লাখ লাখ যুবক রাস্তায় নেমে এসেছে, এ যুবকদের পদভারে শেখ হাসিনা সরকার বানের জলে ভেসে যাবে। আমার এক পরিচিত সরকারি চাকরি করা লোককে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা দিচ্ছে না, পরে জানতে পারলাম সেই লোক সরকারের অন্যায়ের সাথে জড়িত। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল,  মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, মহিলা দলের সভানেত্রী মির্জা আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর বিএনপির এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, আখতার হোসেন, শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আবদুল মতিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দুলু, আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবন, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি এড. মাসুম খান রাজেশ প্রমুখ।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো নয়াপল্টন ও আশপাশ এলাকায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত একটি রাস্তা বন্ধ রাখা হয়।আবহাওয়া বৈরিতার কারণে আড়াইটায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা দেরিতে শুরু হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ও সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর