আওয়ামী লীগ সরকারকে রাতের ভোটের সরকার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম-খুন ও গুলিয়ে চালিয়ে জনগণকে আতঙ্কে রেখে সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। সরকারের সময় সময় শেষ হয়ে গেছে। জনগণ জেগে ওঠেছে। এ সরকারকে পালাতে হবেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
জনসভায় মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আদালত কর্তৃক খালাস হবার পর সেই রায় বাতিল করে পুনরায় রায় দেয়া একটি নজিরবিহীন ঘটনা। সরকারের আদেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিল করতেই টুকুর বিরুদ্ধে আদালতে এ ফরমায়েসি রায় ঘোষণা করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে। বিদেশে বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে। সরকার সবক্ষেত্রে উন্নয়নের নামে চুরির মহোৎসব শুরু করেছে।
তিনি বলেন, সরকার সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। যে কারণে বিনাভোটে জোরপূর্বক ক্ষমতায় রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এরপর নির্বাচন হবে। তাছাড়া দেশে কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।
জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের সভাপতিতে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সিাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকাদার দুলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট ও যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু প্রমুখ।
সমাবেশে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়। তাই তাকে দেশ আসতে দেয় না। শুধু তাই নয় সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয় পায় বলে লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে নির্যাতন করছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রোদ-বৃষ্টি ঝড় সবকিছু মাথায় নিয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলে সরকারের কবর রচনা করতে হবে।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, শুধু ইকবাল হাসান মাহুমদু টুকু নয়, বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুরো দেশকে সরকার কারাগারে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, সরকার বেসামাল হয়ে গেছে। সরকার প্রধান এক কথা বলেন আবার তার মন্ত্রীরা আরেক কথা বলেন। তাতে বোঝা যায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নাই।
তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যেই সরকার পতন হবে। আওয়ামী লীগ বিগত ১৫ বছর যাবত বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম করেছে ও রক্ত ঝড়িয়েছে। আওয়ামী লীগকে উচিত জবাব দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের কোন সন্ত্রাসী যেন সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য পাহারা দিতে হবে। একদিন এসব সন্ত্রাসীদের বিচার জনতার আদালতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত