বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, সেই তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে। বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। পূর্বাভাসে ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। বুধবার এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো আউটলুক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমদানি-রপ্তানির অনিশ্চয়তা থেকে বাংলাদেশের জন্য ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গত অর্থবছরে বাংলাদেশে আমদানি প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া নিয়ে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা ততটা কমেনি।
সরকারি নীতি সহায়ক হওয়ায় সব ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও দাবদাহের কারণে ফসলের যে ক্ষতি হয়েছিল তা আংশিক ভর্তুকি, প্রণোদনা ও অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে। সংরক্ষণ প্রক্রিয়া, সহায়তামূলক কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা খাতে উন্নয়নের ফলে সার্বিকভাবে সেবা খাত এগিয়ে গেছে।
জনসাধারণের পণ্যক্রয় প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি সরকারি বিনিয়োগও বেড়েছে। এর ফলে প্রবৃদ্ধি নিয়ে এডিবি যে পূর্বাভাস দিয়েছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবেদন বলছে, গত এপ্রিলে এডিবি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ৬ দশমিক ৫ শতাংশের যে প্রাক্কলন দিয়েছিল তা এখনো অপরিবর্তিত আছে।
এপ্রিল মাসে এডিবির পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু এডিবির আউটলুকের প্রতিবেদনে বলছে, অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সরকারের সহায়ক নীতির কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিতে বলিষ্ঠ অবস্থা তৈরি হয়েছে, বেড়েছে প্রবৃদ্ধি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক