জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সদ্যপ্রয়াত তিন সংসদ সদস্যের জন্য শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।এরা হলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাজাহান কামাল, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাজাহান মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুস সাত্তার ভূঁঞা।
এ শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রয়াত সংসদ সদস্যদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
রবিবার বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাবটি আনা হয়। এর পর শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোক প্রস্তাব নিতে নিতেই সময় গেল। একে একে আমাদের অনেক সদস্যকে হারিয়েছি। কোভিডের সময় তো আরও বেশি। আমাদের এ চলমান সংসদের তিনজন সদস্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও তাদের বয়স হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে বিশেষ করে শাজাহান কামাল সাহেব এবং শাজাহান সাহেব তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আমরা যারা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছি, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছি, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করা, নির্যাতন ভোগ করা এবং মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তারা সব সময় সক্রিয় ছিলেন। মানুষ জন্মালে একদিন মরে যেতে হবে এটা আমরা জানি, তারপর সংসদ চলাকালে এ শেষ বেলায় এসে এভাবে একে একে আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য সত্যি কষ্টকর। আমি পটুয়াখালী থেকে নির্বাচিত শাজাহান মিয়া এবং লক্ষ্মীপুর থেকে নির্বাচিত আমাদের শাজাহান কামাল সাহেব এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত সাত্তার সাহেবের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’
শোক প্রস্তাবের ওপর আরও আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আ স ম ফিরোজ, আনোয়ার হোসেন খান, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা, পীর ফজলুর রহমান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন