বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেছেন, আমাদের যে ধারণাপত্র দিয়েছিলেন সেখানে বলা হয়েছে যে অবাধ, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি। প্রশ্নটা হলো- এ ধরনের বক্তব্য সাংঘর্ষিক কি-না? কারণ তফসিল ঘোষণার পূর্ব মুহূর্তে এই ধরনের বক্তব্য আসে, তখন রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, এর প্রেক্ষিতে তাদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আমার প্রশ্ন হলো যে, আপনাদের ভূমিকাটা আরও স্পষ্ট করতে হবে, যে কী কারণে এখনো অনুকূল পরিবেশ হয়ে ওঠেনি।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম সম্পাদক নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটা সর্বোচ্চ ক্ষমতার জায়গায়। একটা আস্থার জায়গা। একজন ভোটে অংশগ্রহণ করবে তখনই, যখন মনে করবে নির্বাচন কমিশন আমাদের অবাধ স্বাধীনতা দিতে সক্ষম হবে এবং ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। পরিবেশই যদি তৈরি না হয়, আপনারা কিভাবে নির্বাচনটা করবেন?
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক বলেন, আমরা আস্থা রাখতে চাই; নির্বাচনের যদি পর্যাপ্ত আইন থাকে সেটা কার্যকর আপনারাই করবেন। আপনারাই তো যে কাউকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন। যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা কথা না শোনে তার বিরুদ্ধে তো আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। সেখানে কিন্তু কোনো সংকট আমরা দেখি না। সে ক্ষেত্রে অবাধ সুষ্ঠু নিরপক্ষে নির্বাচন সম্পন্ন করাটা নির্ভর করবে আপনাদের নিজেদের সক্ষমতা এবং আইনের প্রয়োগের ওপর।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে হয়তো সেই সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু ক্ষমতার তো অভাব নেই, পর্যাপ্ত আইন আছে। পর্যাপ্ত আইনের প্রয়োগ করলেই তো অনেক কিছু সংকটের সমাধান হবে। তখনই দলগুলো অবাধে আসতে সক্ষম হবে, দলগুলো যখন দেখবে আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে, আপনারা সক্ষমভাবে সবকিছু করছেন। আগেই যদি ভয় দেখিয়ে ফেলেন তাহলে তো হবে না।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রেজওয়ানুল হক রাজা ও চ্যানেল আইয়ের চিফ নিউজ এডিটর জাহিদ নেওয়াজ খান জুয়েল প্রমুখ অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত