শিরোনাম
প্রকাশ: ১৮:১৯, শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘ডেল্টা পরিকল্পনা’ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে আজ এ কথা বলেন। এই উপলক্ষ্যে তিনি দলের সকল নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।  

শেখ হাসিনা বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, জাতীয় চার নেতা, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদগণসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহিদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের-যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি এবং আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের গণমানুষের প্রাণের সর্ববৃহৎ সংগঠন। 

তিনি বলেন, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ থেকে ২৪ জুন এক সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা ও বিশ্বশান্তির পথকে প্রশস্ত করা।

তিনি বলেন, কারাবন্দি অবস্থায় তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান নবগঠিত সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় সম্মেলনেই তাকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রজ্ঞা, শ্রম, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও অবিচল আদর্শকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রশ্নে হয়ে উঠেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। 

সরকার প্রধান বলেন, হাজার বছরের শাসন-শোষণের ইতিহাস মুছে ফেলে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগঠনটিকে প্রস্তুত করতে শেখ মুজিবকে যেমন অসংখ্য চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে, তেমনি তার ব্যক্তি-জীবনকেও বিসর্জন দিতে হয়েছে। কালের পরিক্রমায় তিনি হয়ে উঠেন- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালির জাতির পিতা। 

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখণ্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মলগ্ন থেকেই সংগঠনটি ভাষা-শিক্ষা’র অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’- দাবিতে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সচিবালয়ের ১নং গেইট থেকে পিকেটিং করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গ্রেফতার হন। তার পরামর্শে ’৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারি ‘ভাষা দিবস’ সমর্থনে ধর্মঘট আহ্বান ও ১৪৪-ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত এবং কারান্তরীণ অবস্থায় অনশন ঘোষণা ভাষা আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।

তিনি বলেন,  ১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ ২১-দফা ইশতাহারের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে এবং মন্ত্রিসভা গঠন করে। পাকিস্তানের গভর্নর সে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়। ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় মন্ত্রিসভা গঠন করে। সেসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাদেশ ঘুরে মহকুমা ও থানা পর্যায়ে দলীয় কর্মীবাহিনীকে নিয়োজিত করে পূর্ব-বাংলায় বিরাজমান তীব্র খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করেন। মাত্র দু’বছরের কম সময়েই জনকল্যাণকর বিভিন্ন কর্মকান্ড গ্রহণ করে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয় এবং পূর্ব-বাংলার স্বায়ত্তশাসনসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। 

তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে সামরিক শাসন জারির ফলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়। দৃঢ়-প্রত্যয়ী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তৃণমূল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে মনোনিবেশ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। জনগণই আওয়ামী লীগের মূলশক্তি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ’৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি মুক্তির সনদ রচনা এবং ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে, শুরু করে প্রহসন। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য ৬-দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। 

তিনি বলেন, এর পরপরই পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তা সরকার জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করে। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তার অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যায়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং সেদিন এ স্থানটির নাম মুজিবনগর রাখা হয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী’র দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সংবিধানে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করেন। 

তিনি বলেন, জাতির পিতার আহ্বানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এবং স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী চক্র আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি জাতির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথকে বন্ধ করে দেয়। বিদেশে থাকায় আমি এবং আমার বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যাই। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে; সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে; বিদেশে দূতাবাসে চাকুরি দেয়। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দেয়; রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করে। ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে তাদের বিপুল অর্থের মালিক করে দিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করে। 

শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে থাকা অবস্থায় ’৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। নানা বাধা উপেক্ষা করে ’৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে এসে দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। 

তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও অবৈধ সেনাশাসকদের নির্যাতন আর নিপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী, সমর্থকেরা জীবন দিয়ে সকল প্রতিকূলতা, ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে, শক্তিশালী করেছে। 

তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তারা শুরু করেন অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ও দেশ গড়ার নবতর সংগ্রাম। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। 

তিনি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তারা খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তারা ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতার হত্যার বিচার শুরু করেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারও মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। আওয়ামী লীগ সরকারের এই পাঁচ বছরে দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের এক নবদিগন্তের সূচনা হয়। 

সরকার প্রধান বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুঃশাসন, অত্যাচার নির্যাতন ও দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং ২০০৭ থেকে ২০০৮ অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ধারাবাহিক সরকারে গত সাড়ে ১৫ বছর তারা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শেষ বছর এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শেষ বছর- ২০২৩ সালের তুলনা করলে সাফল্যের তথ্যচিত্র আমাদের সামনে ভেসে উঠবে। 

তিনি বলেন, এসময়ে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৫ গুণ, বাজেটের আকার ১২ গুণ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৩ গুণ, জিডিপির আকার ১২ গুণ, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩৬ গুণ, রপ্তানি আয় ৫ গুণ, রেমিটেন্স ৬ গুণ, এফডিআই ৫ গুণ, কৃষি-শ্রমিকের ক্রয় ক্ষমতা ৩ গুণ, শ্রমিকদের মজুরি ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্যহার ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। অতিদারিদ্র্য কমেছে ৫ গুণ। মানুষের গড় আয়ু হয়েছে ৭২ দশমিক ৮ বছর। এসময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৮ গুণ এবং বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগের হার ২৮ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাক্ষরতার হার বেড়েছে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা  নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশিতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১সহ দেশব্যাপী  উন্নয়ন কর্মকা-ের বাস্তবায়ন করেছি।

তিনি বলেন, তারা দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীনকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছি। আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪টি পরিবারের ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, তারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছে। এ হত্যাকা-ের বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা লড়াই-সংগ্রাম ও মানুষের আস্থা অর্জন করে আওয়ামী লীগকে জনমানুষের সংগঠনে পরিণত করেছে। 

তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, তাদের নেতাকর্মীদের মেধা, পরিশ্রম, ত্যাগ ও দক্ষতায় আওয়ামী লীগ আরো গতিশীল ও শক্তিশালী হবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনও নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তির যে কোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে তিনি দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। 

তিনি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।-বাসস

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য : জিল্লুর রহমান
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য : জিল্লুর রহমান
কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন গ্রহণ শুরু, আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরাও
কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন গ্রহণ শুরু, আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরাও
দেশের কল্যাণে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা
দেশের কল্যাণে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা
মানুষ বিরক্ত ও নিরূপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল
মানুষ বিরক্ত ও নিরূপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল
অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে প্রকল্পের ব্যয় বেশি: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে প্রকল্পের ব্যয় বেশি: জ্বালানি উপদেষ্টা
গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : জিল্লুর রহমান
গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : জিল্লুর রহমান
'দক্ষিণ এশিয়ায় জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সুযোগ এসেছে'
'দক্ষিণ এশিয়ায় জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সুযোগ এসেছে'
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: বদিউল আলম মজুমদার
সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: বদিউল আলম মজুমদার
অনর্থক টেস্ট না দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান আসিফ নজরুলের
অনর্থক টেস্ট না দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান আসিফ নজরুলের
জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ বন্ধ করতে পারবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ বন্ধ করতে পারবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
৩ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
সর্বশেষ খবর
গোবিন্দগঞ্জে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
গোবিন্দগঞ্জে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

রাঙামাটিতে চোলাই মদ পাচারের সময় তিন নারী আটক
রাঙামাটিতে চোলাই মদ পাচারের সময় তিন নারী আটক

৪৫ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে কৃষকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নবীনগরে কৃষকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, নোয়াখালীতে ভুয়া র‍্যাব গ্রেপ্তার
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, নোয়াখালীতে ভুয়া র‍্যাব গ্রেপ্তার

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চার শাখার সঙ্গে জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল
চার শাখার সঙ্গে জরুরি সভা ডেকেছে ছাত্রদল

৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

পাহাড়ে পর্যটক সংকট
পাহাড়ে পর্যটক সংকট

১১ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

গোয়াইনঘাট থেকে আরও আড়াই হাজার ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ
গোয়াইনঘাট থেকে আরও আড়াই হাজার ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ

১৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির নারী শাখার সম্মেলন
গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির নারী শাখার সম্মেলন

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অনির্বাচিত কেউ দেশ শাসন করতে পারে না: শেখ মো. শামীম
অনির্বাচিত কেউ দেশ শাসন করতে পারে না: শেখ মো. শামীম

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য : জিল্লুর রহমান
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য : জিল্লুর রহমান

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভুয়া ডিভোর্স পেপার দিয়েছেন রিয়া মনি, অভিযোগ হিরো আলমের
ভুয়া ডিভোর্স পেপার দিয়েছেন রিয়া মনি, অভিযোগ হিরো আলমের

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাংনী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে হেরোইন উদ্ধার
গাংনী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে হেরোইন উদ্ধার

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন গ্রহণ শুরু, আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরাও
কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন গ্রহণ শুরু, আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরাও

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নড়াইলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৩০
নড়াইলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ৩০

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২৫
ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকায় করোতোয়া নদী থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকায় করোতোয়া নদী থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ব্যর্থ করতে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রে সতর্ক থাকতে হবে : প্রিন্স
নির্বাচন ব্যর্থ করতে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রে সতর্ক থাকতে হবে : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১.৬ বিলিয়ন ডলার আয়ের অধিকাংশই দান করলেন এক উদ্যোক্তা
১.৬ বিলিয়ন ডলার আয়ের অধিকাংশই দান করলেন এক উদ্যোক্তা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বগুড়ায় যুবদল নেতার উপর হামলা, জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
বগুড়ায় যুবদল নেতার উপর হামলা, জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার: দুলু
ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩৩ ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে হজ নিবন্ধন ফি
৩৩ ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে হজ নিবন্ধন ফি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

দেশের কল্যাণে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা
দেশের কল্যাণে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে : মৎস্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হাসিনা কংসের মতো মানুষ হত্যা করেছে’
‘হাসিনা কংসের মতো মানুষ হত্যা করেছে’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুয়া দুই ডিবি পুলিশ গ্রেফতার
ভুয়া দুই ডিবি পুলিশ গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশু নিহত
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশু নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিহত রূপলালের পরিবারকে তারাগঞ্জ বিএনপির আর্থিক সহায়তা
নিহত রূপলালের পরিবারকে তারাগঞ্জ বিএনপির আর্থিক সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম–ঢাকা পাইপলাইনে তেল পরিবহন শুরু
চট্টগ্রাম–ঢাকা পাইপলাইনে তেল পরিবহন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আলাস্কায় পুতিনের মাথার ওপর উড়ল বি-২ বোমারু বিমান (ভিডিও)
আলাস্কায় পুতিনের মাথার ওপর উড়ল বি-২ বোমারু বিমান (ভিডিও)

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গ্রেফতার করা সম্ভব নয় পুতিনকে’
‘যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গ্রেফতার করা সম্ভব নয় পুতিনকে’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরে ৯৮ বাংলাদেশিকে আটকে দিলো মালয়েশিয়া
বিমানবন্দরে ৯৮ বাংলাদেশিকে আটকে দিলো মালয়েশিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা সংস্কারের ঘোষণা দিল কুয়েত
ভিসা সংস্কারের ঘোষণা দিল কুয়েত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের পর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানাল জর্ডান
কাতারের পর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানাল জর্ডান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ পরিকল্পনার নিন্দা জানাল বাংলাদেশসহ ৩১ দেশ
‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ পরিকল্পনার নিন্দা জানাল বাংলাদেশসহ ৩১ দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০৪৭ সালের মধ্যে পারমাণবিক শক্তি ১০ গুণেরও বেশি বৃদ্ধির আশ্বাস মোদির
২০৪৭ সালের মধ্যে পারমাণবিক শক্তি ১০ গুণেরও বেশি বৃদ্ধির আশ্বাস মোদির

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মের নামে নতুন এক চেতনার উত্থান হয়েছে: রিজভী
ধর্মের নামে নতুন এক চেতনার উত্থান হয়েছে: রিজভী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বললেন, ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বললেন, ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক, ‘১০–এ ১০’ দিলেন ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক, ‘১০–এ ১০’ দিলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের আগে যা বললেন জেলেনেস্কি
আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের আগে যা বললেন জেলেনেস্কি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বালু ও মাটির নিচে সাদাপাথরের খনি
বালু ও মাটির নিচে সাদাপাথরের খনি

২২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বিএনপিতে চাঁদাবাজ-দখলবাজদের ঠাঁই নেই : শামা ওবায়েদ
বিএনপিতে চাঁদাবাজ-দখলবাজদের ঠাঁই নেই : শামা ওবায়েদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেই হাতিকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে বনকর্মী-চিকিৎসকসহ আহত ১৫
সেই হাতিকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে বনকর্মী-চিকিৎসকসহ আহত ১৫

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়নে যে শর্ত দেন হিলারি
ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়নে যে শর্ত দেন হিলারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের আয়রন ডোম নকল করে সুদর্শন চক্র বানাচ্ছে ভারত!
ইসরায়েলের আয়রন ডোম নকল করে সুদর্শন চক্র বানাচ্ছে ভারত!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার ‘আলাস্কা’ যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড হয়েছিল?
রাশিয়ার ‘আলাস্কা’ যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড হয়েছিল?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের সঙ্গে কেন চুক্তি হয়নি, জানালেন ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে কেন চুক্তি হয়নি, জানালেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দীর্ঘ বৈঠকের পর ইউক্রেন ইস্যুতে যা বললেন ট্রাম্প ও পুতিন
দীর্ঘ বৈঠকের পর ইউক্রেন ইস্যুতে যা বললেন ট্রাম্প ও পুতিন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার তেল কেনার জন্য চীনকে শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নেই: ট্রাম্প
রাশিয়ার তেল কেনার জন্য চীনকে শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নেই: ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক গুলিবিনিময়, ইরানি পুলিশ অফিসার নিহত
পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক গুলিবিনিময়, ইরানি পুলিশ অফিসার নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়া : হার না মানা এক অনন্য রাজনীতিক
খালেদা জিয়া : হার না মানা এক অনন্য রাজনীতিক

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দেশে অনিবার্যভাবে নির্বাচন হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা
দেশে অনিবার্যভাবে নির্বাচন হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অতিরিক্ত জনসংখ্যায় ভেঙে পড়ে এক সমাজ, ইঁদুর নিয়ে পরীক্ষায় ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত
অতিরিক্ত জনসংখ্যায় ভেঙে পড়ে এক সমাজ, ইঁদুর নিয়ে পরীক্ষায় ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত

২১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

১০ মোটরসাইকেল নিয়ে রেস, প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
১০ মোটরসাইকেল নিয়ে রেস, প্রাণ গেল দুই বন্ধুর

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে'
'ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে'

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদ্রাসায় আবাসিক দুই ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদ্রাসায় আবাসিক দুই ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ বিএনপি : তারেক রহমান
ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ বিএনপি : তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, পাইলটসহ নিহত ৫
পাকিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, পাইলটসহ নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি
ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

অফার লেটারের বন্যা, এক শিক্ষার্থীর সাফল্যের গল্প
অফার লেটারের বন্যা, এক শিক্ষার্থীর সাফল্যের গল্প

শনিবারের সকাল

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ হাসি কার?
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক শেষ হাসি কার?

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অংশ নেব না, সংস্কারই অগ্রাধিকার
নির্বাচনে অংশ নেব না, সংস্কারই অগ্রাধিকার

প্রথম পৃষ্ঠা

মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে
মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিল্ডিং কোড অনুসরণে উলটো পথে দেশ
বিল্ডিং কোড অনুসরণে উলটো পথে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

চাকরির বাজারে হাহাকার
চাকরির বাজারে হাহাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

লাগামহীন ডিম-পিঁয়াজের বাজার
লাগামহীন ডিম-পিঁয়াজের বাজার

নগর জীবন

প্রার্থিতার দৌড়ে বিএনপি থেকে ছয় নেতা মাঠে
প্রার্থিতার দৌড়ে বিএনপি থেকে ছয় নেতা মাঠে

নগর জীবন

বিএনপির চার মনোনয়নপ্রত্যাশী এককে নির্ভার জামায়াত
বিএনপির চার মনোনয়নপ্রত্যাশী এককে নির্ভার জামায়াত

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেশি জাতের মুরগি পালনে ভাগ্যবদল
দেশি জাতের মুরগি পালনে ভাগ্যবদল

শনিবারের সকাল

বন্যার প্রভাব বাজারে
বন্যার প্রভাব বাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

যে সড়কে প্রতিদিনই যুদ্ধ
যে সড়কে প্রতিদিনই যুদ্ধ

পেছনের পৃষ্ঠা

এশিয়া কাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি টাইগারদের
এশিয়া কাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি টাইগারদের

মাঠে ময়দানে

সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাদাপাথরের খনি বালু ও মাটির নিচে
সাদাপাথরের খনি বালু ও মাটির নিচে

প্রথম পৃষ্ঠা

অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখল চক্র, নবজাতকের মৃত্যু
অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখল চক্র, নবজাতকের মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার ৯ কেজি চিতল ২০ হাজারে বিক্রি
পদ্মার ৯ কেজি চিতল ২০ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্ভোগে নদীপাড়ের মানুষ
দুর্ভোগে নদীপাড়ের মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

শুভ জন্মাষ্টমী আজ
শুভ জন্মাষ্টমী আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

চূড়ান্ত করতে শেষ মুহূর্তের কাটাছেঁড়া
চূড়ান্ত করতে শেষ মুহূর্তের কাটাছেঁড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

মুজিববাদ মানেই গুম হত্যা ধর্ষণ
মুজিববাদ মানেই গুম হত্যা ধর্ষণ

প্রথম পৃষ্ঠা

চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ গ্রেপ্তার ১৯৯১
চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ গ্রেপ্তার ১৯৯১

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে
নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

জমজমাট পোশাকশিল্পের প্রদর্শনী
জমজমাট পোশাকশিল্পের প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশির বিচার শুরু
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশির বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনে নিঃস্ব পাঁচ পরিবারের পাশে তারেক রহমান
আগুনে নিঃস্ব পাঁচ পরিবারের পাশে তারেক রহমান

নগর জীবন

রনি-কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
রনি-কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

খবর

ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে দেশ ও জাতির মঙ্গল
ঘোষিত সময়ে নির্বাচনে দেশ ও জাতির মঙ্গল

নগর জীবন