বাহিনী নয়, পুলিশে নেতৃত্বে সমস্যা। দোষীরা শাস্তি পাবে। দয়া করে, নিরীহদের আক্রমণ করবেন না বলে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের পক্ষে অতি. ডিআইজি মো. সোহেল রানা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে ডিআইজি মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বার্তা প্রদান করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্মানিত জনসাধারণকে ছাত্রজনতার আন্দোলনে বিজয়ের শুভেচ্ছা। এ আন্দোলনে যারা শাহাদাতবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এ মুহূর্তে দেশ ও জাতির মতো বাংলাদেশ পুলিশও একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দৃশ্যত বাংলাদেশ পুলিশ এখন সম্পূর্ণরূপে নেতৃত্বহীন। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। জুনিয়র কর্মকর্তা ও সদস্যগণ দিশাহারা। এরা সবাই নিরীহ সদস্য।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠান রক্ষার উদ্দেশ্যে সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি। শিগগিরই পুলিশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও নেতৃত্ব যথাযথভাবে সক্রিয় হবে বলে বিশ্বাস করি। ছাত্র-জনতার বিজয়ের ফল নতুন সরকার সাধারণ ছাত্র-জনতাকে হত্যায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে যথোচিত কঠোর আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করবে, আমি নিশ্চিত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি নিরীহ সদস্যদের পুরো উদ্যেমে জনসেবায় ব্রত হওয়ারও সুযোগ দেওয়া উচিত। পুলিশের স্থাপনা ও সম্পদ পুলিশ নয় জনগণের। পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় সকল সম্পদ ধ্বংস বা নষ্ট না করার অনুরোধ রইলো।
বাংলাদেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পুলিশি সেবা উপহার দেয়ার মেধা ও মানসিকতা সম্পন্ন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য বাংলাদেশ পুলিশেই রয়েছে। মেধা, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেম মূল্যায়ণে যোগ্য কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদে স্থাপন করলেই জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ পাবে। শুধু বলতে চাই, পুলিশ একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনার পাশে দাঁড়াতে পেরেছে, যে পুলিশ করোনায় স্পষ্টতই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে ছিল তাদের মধ্যে সীমাহীন ভালোটাও রয়েছে।
আসুন ভালো মানুষকে টিকে থাকার ও ভালো গুণাবলি চর্চার সুযোগ করে দিই। মহান সৃষ্টিকর্তা চাইলে, নতুন প্রজন্মের নতুন আদর্শ নেতৃত্বে আমরা সেটা পারবো। পাশাপাশি, সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের নিকট অনুরোধ সুযোগ পেলে আপনারা জনগণকে বিনয়ের সঙ্গে তাদের পক্ষে আপনাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করুন। পুনরায় জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবায় মনোনিবেশ করার ব্রত গ্রহণ করুন। সকলের কাছে সেই সহযোগিতা চাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত