জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আজকের এই আলোচনায় আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে একটা দাবি ছিল আমাদের, যেটা ৩০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, জুলাই আন্দোলনে যারা আহত ও শহীদ হয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের বিষয়টিও ধীরগতির ছিল। আর এই আর্থিক বিষয়টা যেন সঠিকভাবে হয়, সেই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি।
শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আরেকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে যেসব নির্বাচন হয়েছিল, সেগুলো বিতর্কিত ছিল। তাই সেই নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে বলেছি।
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের যেসব ছাত্র প্রতিনিধিরা উপদেষ্টা হয়েছেন, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। এ বিষয়ে আমরা আজকে স্পষ্ট করেছি। তারা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, তিনি যেন দায়িত্বে থাকেন এবং দায়িত্বে থেকে গণ-অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি বাস্তবায়নে কাজ করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা নিতে চাননি উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি ক্ষমতা নিতে চাননি, আমরাই উনাকে ক্ষমতা দিয়েছি। উনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু তিনি কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে আমরা উনাকে বুঝিয়েছি, উনি যেন সব কিছু বাদ দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে যান।
বিডি প্রতিদিন/কেএ