সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
শনিবার বিকেলে জামালপুরের সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকসানা পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজের টকশো’তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। অসৎ উদ্দেশ্যে এই মিথ্যাচার, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ১০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা রুমেল সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও টকশো’র উপস্থাপক চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ রেইনসকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৯ জুন। ওইদিন আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর ‘পানসীয়ানা’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এ সময় ওই ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজের কর্ণধার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ রেইনসকে উস্কানিমূলক প্রশ্ন করতে দেখা যায়। পরে এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সরিষাবাড়ী উপজেলার ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা রুমেল সরকার বাদী হয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ী আমলী আদালতে ১০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত