দেশের মোট ৬৩৯টি থানার সবগুলোর অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। এর মধ্যে মেট্রোপলিটনের ১১০টি থানা এবং জেলার ৫২৯টি থানা রয়েছে।
এ ছাড়া রেলওয়ে পুলিশের ২৪টি থানার অপারেশনাল কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই থেকে দেশে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলন ১৫ জুলাই থেকে সহিংসতায় রূপ নেয়। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে নিহত হয় ছয়জন। ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৪৩৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর বাইরে গত ৬ আগস্ট পর্যন্ত আরও ১০৩ জনসহ দেশে মোট ৫৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ৭ আগস্টও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় আরও ২৬ জনের মরদেহ, যা নিয়ে আগস্টের ৭ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬৮।
এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগে ভেঙে পড়ে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। থানা, ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অধিকাংশ কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন ও সংস্কার করার কথা বলা হচ্ছিল সর্বমহল থেকে। এরপর পুলিশে ব্যাপক রদবদলসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও পুলিশকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরাতে উদ্যোগ নেন নতুন আইজিপি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ