আইন মেনে কাজ করলে দুর্নীতি এমনিতেই কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ফাঁকফোকর দিয়ে যে দুর্নীতি হয়ে গেছে সেটা হয়ে গেছে। কিন্তু আগামীতে এমন হলে আমার নজরে নিয়ে আসবেন। অন্তত মূলনীতিটি যদি আমরা ঠিক করে দিয়ে যেতে পারি এবং সে ধারাবাহিকতায় চললে, আমার বিশ্বাস আগামীতে দুর্নীতি কমে আসবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি একেবারে নির্মূল হয়তো সম্ভব হয় না। তবে নীতিটা ঠিক করতে পারলে দুর্নীতির এ জায়গাটা অনেকটা সীমিত হয়ে যাবে।
হাসান আরিফ বলেন, আমাদের সামনে ‘টাস্ক’ অনেক বড়। অনেক দিনের জঞ্জাল জমে আছে। এটা এক-দুই দিনে ঠিক হবে না। সবার সহযোগিতা থাকলে এটা ধাপে ধাপে সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনও পদক্ষেপ সঠিক হয়নি এমন বিবেচনা থাকলে সেটা আমাদের জানালে আমরা পুনরায় বিবেচনা করব। প্রতিটি জায়গাতেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোথায় বাজেট কত এবং কতদূর অগ্রসর হয়েছে সেগুলোতে নজরদারি করা হবে। যখনই আমার কাছে ফাইল নিয়ে আসা হয় (প্রকল্পের ফাইল) সেগুলো আমি নিজে খুঁটিনাটি দেখে এরপর সই করি। অভিযোগ আছে যে, প্রকল্প হচ্ছে দুর্নীতি ও অপচয়ের একটা জায়গা। কেউ যদি এসে বলে প্রকল্পের সবকিছু ঠিক আছে স্যার সই করে দেন, কিন্তু আমি সই করি না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা যদি আইন অনুযায়ী কাজ করি তাহলে কিন্তু দুর্নীতি এমনিতেই থাকবে না। আইনে আছে যে আপনি ১০০ টাকার কাজের ১০০ টাকারই কাজ করবেন। কিন্তু সেখানে যদি আমি ৩০ টাকা ভাগাভাগি করে নিই তাহলে সেখানে থাকল মাত্র ৭০ টাকা। আইনে তো এমন বলা নেই যে ১০০ টাকা দিলে আপনি ৭০ টাকার কাজ করবেন এবং বাকি ৩০ টাকা দিয়া আনন্দ-ফুর্তি করবেন। সুতরাং আমরা যদি আইনের মধ্যে থেকে কাজ করি তাহলে দুর্নীতিতে বড় একটা বাধা আসবে। আইন থেকে বিচ্যুত হলেই এটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, যেখানে একটি বড় বাজেট থাকে এবং কর্মকাণ্ড থাকে সেখানে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। পথ খুলে যায়। সে জায়গাগুলো বন্ধ করা আমাদের জরুরি প্রয়োজন। যারা সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলো আমরা দেখে দেখে ব্যবস্থা নিব।
বিডি প্রতিদিন/একেএ