বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মো. নুরুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। তবে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একদল দুষ্কৃতিকারী এ হামলা চালায়। এ সময় সিএজি নুরুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় তাঁর কার্যালয়। ভেঙে দেওয়া হয় সিসিটিভি। পরে দুপুরে সেনা সদস্যদের সহায়তায় অফিস ছেড়ে যান সিএজি নুরুল ইসলাম।
এ সময় সিএজি নুরুল ইসলামকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন হামলাকারীরা। তিনি অবশ্য এ সময়ের মধ্যে পদত্যগ করবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার আগেই অফিস ছাড়েন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থী-জনতা পরিচয়ে ১০০ জনের বেশি লোক সিএজির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত অডিট ভবনে প্রবেশ করে। তারা সিএজি কার্যালয়ের দরজায় লাথি মারে এবং দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তখন তাদের প্রতিহত করেন সিএজি কার্যালয়ের কর্মচারীরা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। সেনাসদস্যদের প্রহরায় দুপুর ১২টার দিকে সিএজি নুরুল ইসলাম অফিস ত্যাগ করেন।
এদিকে, এ ঘটনার সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা। শিক্ষার্থীদের নাম ভাঙিয়ে দুর্বৃত্তরা এ ধরনের কাজ করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত/ ওয়াসিফ