মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কিছু ভুল নীতি প্রচলিত থাকার কারণে মানুষের জীবন-জীবিকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা সেগুলোতে পরিবর্তন আনবো। ‘জল যার জলা তার’ এই প্রথা এখন তিস্তাসহ হাওড় এলাকাগুলোতে নেই- এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে এ বিষয়গুলো মূলত ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছে। নদীপাড়ের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা দায়িত্ব নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে জানাবো, যাতে বাণিজ্যিক কারণে জলাশয়গুলো কাউকে দেয়া না হয়। যেখানকার পানি সেখানকার মৎসজীবীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। জলাশয় বাণিজ্য করার জায়গা নয়।
শনিবার বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদী পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য চেষ্টা করলেই তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। তিস্তাপাড়ের মানুষদের কথা এতদিন শুনে এসেছি, আজ সরাসরি দেখলাম। তারা তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে চায়, যদি সরকার থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে সামান্য সাহায্য তিস্তাপাড়ের মানুষদের দেয়া যায় তবে তারা তাদের জীবন পরিবর্তন করতে পারবে। তবে এ প্রকল্পটি শুধু প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়। এতে রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, সমবায় মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আমরা এ সকল মন্ত্রণালয় একত্রে চেষ্টা করবো তিস্তাপাড়ের মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে।
তিনি বলেন, তিস্তাপাড়ের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করলে যেমন মাছের সরবরাহ বাড়বে তেমনি দুধ-মাংসের সরবরাহ সারাদেশব্যাপী বেড়ে যাবে। এতে করে সারাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।
পরে প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা গঙ্গাচড়ার কচুয়া বাজার কেনএনবি স্কুল মাঠে তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি এবং প্রান্তিক খামারী ও মৎসজীবী সমিতির আয়োজনে মৎসজীবী ও প্রান্তিক খামারি গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রায়হানকবির, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. সালাহ উদ্দিন কবির, জেলা প্রাণি সম্পদকর্মকর্তা আবু সাইদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল