পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ঠিক না হলে শুধু এই অঞ্চল নয়, সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই জনমানুষের স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। তাই দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়ে কাজ করতে হবে।’
বাংলাদেশে সঙ্গে বর্হিবিশ্বে সম্পর্কের ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত আছে আবার ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সখ্য আছে। তবে আমাদের এই তিন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে, এটা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমাদের প্রতিটি দেশের সঙ্গেই স্বার্থ আছে। এত যে শত্রুতা চীন আর ভারতের, তবে খেয়াল করে দেখেন তাদের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের। প্রতিটি দেশেরই আরেক দেশের সঙ্গে স্বার্থ আছে। আমাদেরও স্বার্থ আছে। আর আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা মেজর প্লেয়ার না। আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করেই চলতে হবে।’
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ড সফরে গিয়েছিলাম। মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেখানে আমি তিনটা বিষয় তুলে ধরেছি। সেগুলো হলো—সীমান্ত, মাদক-অস্ত্র, মানব পাচার। আমি বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে এসব ইস্যুর সমাধান হবে না। আমি মিয়ানমারকে বলেছি, মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্ত আরাকান আর্মির হাতে চলে গেছে। তবে আমাদের স্বার্থ হলো, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কেননা আমরা তো রোহিঙ্গাদের দুই মাস ছয় মাসের মধ্যে পাঠাতে পারব না। সেজন্য মিয়ানমারে আমরা শান্তি চাই, সেখানে শান্তি না এলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারব না। তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলে তোমাদের অবশ্যই রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে হবে, এটা তাদের বলেছি।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ