যৌন হয়রানির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ফের একাধিক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে এর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা দুই শিক্ষার্থী তাদের ঘটনা পুনঃতদন্ত করে ওই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে গতকাল উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে হালিম প্রামাণিকের সাময়িক বরখাস্ত বহাল রেখে পুনঃতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে শিক্ষক হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে নাট্যকলা বিভাগের দুই ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করার পর থেকে সাময়িক বহিষ্কার ছিলেন তিনি। পরে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় হালিম প্রামাণিককে দুই বছরের জন্য পদোন্নতি আটকে দেওয়াসহ তিরস্কার করা হয়।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী বলেন, ‘আমরা চিঠি উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছি। উপাচার্য এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, হালিমের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছে। এ ছাড়া এর আগে যাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হালিম প্রামাণিক শাস্তি পেয়েছেন তারা আবার ঘটনাটি পুনঃতদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন ‘নতুন অভিযোগগুলো পাওয়ার পর নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনি সাময়িক বহিষ্কার থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন ডিন, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের পক্ষ থেকে দুই জনসহ মোট পাঁচজনকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক নাসির উদ্দিনকে স্বপদে বহালের দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একাংশ উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।