বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতারক চক্রের ৩০ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া পেশাদার সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৩০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, গত মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন নথিপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে ২০৩ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। প্রতারক চক্রটি ভুক্তভোগী প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ হাজার ৮০০ টাকা করে ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেফতারকৃত চক্রের ৩০ সদস্য হলেন- মো. বেলায়েত হোসেন, মো. শরীফ, মো. সাইফুল ইসলাম, একরামুল হাসান, মো. গোলাম কিবরিয়া, মহাইমিনুল ইসলাম, মো. সজিব শেখ, মো. তারেক, মিঠুন বিশ^াস, ফয়সাল আল মাহমুদ, মো. শফিকুল ইসলাম, সুমন সরকার, শান্ত চন্দ্র মিত্র, রেজভী আহম্মেদ, মহসীন হোসেন, লিটন দাশ, মো. হালিম মিয়া, সুমন চাকমা, মেহেদী হাসান, আজিজুর রহমান, আমজাদ হোসেন, পলাশ হোসেন, মো. মোশারফ হোসেন, মো. আজাদ খান, মো. মমিনুর রহমান, কনক মালাকার, সজীব বিশ^াস, মো. সুমন হোসেন, ইমরান মোল্লা ও শফিকুল ইসলাম।

 

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতরা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পদ্ধতিতে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রটি গ্রামের মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় এক হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রত্যাশীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। গ্রেফতারকৃত ৩০ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে।

র‌্যাব-৪-এর সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে প্রতারণা করছে। ওইসব আঞ্চলিক অফিসে বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে লোক নিয়োগ দেয় তারা। চক্রের মাঠপর্যায়ের সদস্যরা নিজেদের ডিস্ট্রিবিউটার ও মার্কেটিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে লোভনীয় অফার দিয়ে বেকার যুবক ও তরুণ চাকরি প্রার্থীদের সংগ্রহ করে। এসব চাকরি প্রার্থীদের বলা হয় এক মাসের প্রশিক্ষণ শেষে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে। পরবর্তীতে তাদের পাঠানো হয় ভাইভার জন্য। তথাকথিত ভাইভার পর চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয় প্রতারক চক্রের জোনাল ম্যানেজাররা। এ চক্রের ভুয়া ওইসব অফিসের প্রধান কার্যালয় রয়েছে। চেয়ারম্যান, জিএম ও এজিএমসহ নানান পদে কর্মকর্তা রয়েছে। ভাইভার পর নেওয়া টাকা প্রধান অফিসের এজিএম ও জিএমের মাধ্যমে সংগ্রহ করে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর