শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বরিশালে ১৯ নেতাকে নোটিস বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান ১৯ নেতাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। দলের কোনো পদে না থাকলেও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপণকেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। ১ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি দেওয়া হয়। মেয়র পদে ভোটে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপণকে বিএনপির নোটিস দেওয়া হয়েছে। রূপণ ২০০৪ সালে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ২০১০ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। সাধারণ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ভোটে অংশ নেওয়ায় নোটিস পেয়েছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনর রশিদ ও মহানগর যুবদলের সহসভাপতি হুমায়ুন কবির লিংকু, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন যথাক্রমে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউল হক মাসুম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ সাদি, জেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি কাজী মো. শাহিন মোহন ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ আমিনুল ইসলাম আমীন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ শিল্পী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহমেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য জাহানারা বেগম, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য সেলিনা বেগম এবং সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য রাশিদা পারভীন। মহানগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহিদুর রহমান রিপন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির চিঠি গতকাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপণ বলেন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব বিভিন্ন মিডিয়ায় বলেছেন আমি বিএনপির কেউ নয়। তাহলে আমাকে নোটিস দেওয়া হলো কেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এখন নোটিস দিলেও এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার উপায় আমার নেই। আমি জনগণের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং থাকব। বিএনপির চিঠির জবাব দেওয়া হবে, বলেন রূপণ। কাউন্সিলর পদে অংশ নেওয়া ১৮ জনও বিএনপির চিঠির জবাব দেওয়ার কথা বলেছেন।

সর্বশেষ খবর