হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত বিতর্কিত এক শিক্ষকের পদোন্নতি নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। ফলে উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। শিক্ষার্তীদের দাবি সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে জুলাইয়ের গণহত্যায় সমর্থনকারী ও উস্কানিদাতা হিসেবে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সংখ্যালঘুদের গণহত্যা নিয়ে দেশবিরোধী চক্রান্তেও তার জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। গতকাল ছুটির দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি বোর্ড বৈঠকে বসায় বিকাল তিনটায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গতবছর ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের হামলার শিকার হন। এ সময়ে তিনি কিরিচের কোপে মাথায় গুরুতর জখম হন এবং তার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে তিনি গত ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করেন।
এই মামলার ২০তম আসামী কুশল বরণ চক্রবর্তী। এছাড়াও গতবছর ২৬ অক্টোবর ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে’র আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন কুশল বরণ চক্রবর্তী।
পদোন্নতি বোর্ডের বিষয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউকে কোর্টের মতো বিচার করতে পারে না। আমরা কারো জেল জরিমানা করতে পারি না। এটা আমাদের এখতিয়ারে নেই। তবে আমরা যে কমিটিগুলো করেছি সেগুলো ধীরে কাজ করছে।