শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪

তিন দলে তিন কাহিনী

অনলাইন ভার্সন
তিন দলে তিন কাহিনী

মন্ত্রণালয় কিংবা দলীয় কার্যালয়ে যান না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। তারপরও সৈয়দ আশরাফ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদেও অবস্থান পরিবর্তন করেননি। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দীর্ঘ চার বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত তাকে ভারমুক্ত করা হয়নি। আর জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই মহাসচিব বদল করলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। হাওলাদারকে বদলিয়ে নিয়ে এলেন জিয়াউদ্দিন বাবলুকে।

 

সবখানে নিষ্ক্রিয় তবুও আশরাফ সাধারণ সম্পাদক

শাবান মাহমুদ ও নিজামুল হক বিপুল

কখনো দেশে, কখনো বা বিদেশে। মাঝে মধ্যে দৃশ্যমান হলেও তিনি থাকেন পর্দার অন্তরালে। দলের নেতা-কর্মী, সংবাদকর্মী কেউ চাইলেই তার মুখদর্শন পান না। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও তিনি নিষ্ক্রিয়। জেলা সফর প্রয়োজন পড়ে না। তবু সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রীই নন, আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। আশরাফ এখন লন্ডনে। গত ৬ এপ্রিল তিনি সেখানে গেছেন। তার দেশে ফেরার কথা আগামী ২৪ এপ্রিল। তবে সৈয়দ আশরাফের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, চলতি মাসে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই। কবে আসবেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারে না দলীয় কোনো সূত্র। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় এলেও আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক স্থবিরতার নেপথ্যে সৈয়দ আশরাফের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করছেন অনেকে। দলে পর পর দুবারের সাধারণ সম্পাদক তিনি। সৎ-মেধাবী হিসেবে সুনাম থাকলেও তার নিষ্ক্রিয়তায় দল যেমন স্থবির তেমনি কর্মীরা হতাশ। নিজকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন আশরাফ। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মী তো দূরের কথা কেন্দ্রের অনেক নেতা এমনকি দলীয় সংসদ সদস্যরাও সৈয়দ আশরাফের দেখা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। তার দায়িত্বে থাকা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়েরও প্রায় একই অবস্থা। সূত্র জানায়, ১২ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন ১৩ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই দিন তিনি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতর, অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বক্তব্য দেন। এরপর কেটে গেছে টানা ১৫ দিন। ৩০ মার্চ পর্যন্ত তাকে আর মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে দেখা যায়নি। তবে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মাত্র ৪৫ মিনিটের জন্য সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের নিজ দফতরে হাজির হয়েছিলেন সরকারের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী। বিগত সরকারের আমলেও মন্ত্রণালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে স্বাক্ষর করতেন মিন্টো রোডের বাসভবনে বসেই। কেন্দ্রে থেকে বার বার আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠন সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সৈয়দ আশরাফের কোনো ভূমিকা নেই। দলীয় বিশেষ কর্মসূচিতে কিছুক্ষণের উপস্থিতি আর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দেখা গেলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমে অনেকটা নিষ্ক্রিয় তিনি। মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনেও সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে দলীয় নেতাদের দেখা করা ভাগ্যের ব্যাপার। এমনকি টেলিফোনে পাওয়াও আকাশকুসুম কল্পনার মতো। এ ব্যাপারে দলের বিভিন্ন স্তর থেকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগও এসেছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র। 

মাঠপর্যায়ের নেতারা হতাশ হয়ে এখন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে দেখাও করতে চান না। দলের সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে হতাশ কেন্দ্রের সিনিয়র নেতারাও। তবে দলীয় সভানেত্রীর পছন্দের ও আস্থাভাজন হওয়ার কারণেই সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা এড়িয়ে চলেন অনেকে। তবে দলের একাধিক সংসদ সদস্য তাকে কাছে না পাওয়ার বেদনার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। দলীয় সূত্রমতে, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে বার বার সাংগঠনিক কর্মসূচি দেওয়া হলেও সৈয়দ আশরাফকে কাছে পাননি মাঠপর্যায়ের নেতারা। দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা আবদুল জলিল যেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় সম্মেলনেও যোগ দিতেন, সেক্ষেত্রে সৈয়দ আশরাফকে দেখা যায়নি বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশেও। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রায় সাড়ে ৩ মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদেও সাংগঠনিক কাজে মন নেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত সৈয়দ আশরাফের। সূত্রমতে, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ ছাড়া নিজ থেকে খুব কম কর্মসূচিতেই যোগ দেন তিনি। আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সৈয়দ আশরাফ সর্বশেষ কবে এসেছিলেন, কর্মীরা তা ভুলতে বসেছে। জেলাপর্যায়ের দলীয় সম্মেলনেও দেখা যায় না তাকে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের 'ব্রিফ' থাকলে সৈয়দ আশরাফকে দেখা যায়। আবার মিডিয়ায় কথা শেষ হলেই চলে যান গন্তব্যে। সম্প্রতি শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে সরব ভূমিকায় দেখা গেলেও পরবর্তীতে সৈয়দ আশরাফের নিষ্ক্রিয়তা আবারও আলোচনার জন্ম দেয় দলের অভ্যন্তরে। এভাবেই পর পর দুবার আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মনে করেন, সৈয়দ আশরাফ দলে সক্রিয় হলে দল সাংগঠনিকভাবে আগের চেয়ে সংগঠিত হবে। কেননা দলে নিষ্ক্রিয় হলেও তিনি নিঃসন্দেহে মেধাবী।

 

তারপরও ভারমুক্ত হলেন না মির্জা ফখরুল

মাহমুদ আজহার

বিরোধী দলের দুর্যোগপূর্ণ রাজনীতিতে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চার বছর ধরে 'সেকেন্ড ইন কমান্ডের' হাল ধরে রয়েছেন বিএনপির 'ভারপ্রাপ্ত' মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 'প্রশ্নবিদ্ধ ও হাস্যকর' মামলায় ইতোমধ্যে পাঁচ দফায় গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন দলের 'ক্লিনম্যান' বলে খ্যাত এই নেতা। গেল দুই বছরের মধ্যে দীর্ঘ সময় তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ইতোপূর্বে যার কোনো নজির নেই। ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি থাকলেও দলের তৃণমূল পর্যায়ে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বিশিষ্টজনসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতার কমতি নেই। তবুও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তিনি। ভারমুক্ত হয় না তার 'ভার'। নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন- আর কত মামলা হলে, জেল খাটলে মির্জা ফখরুল ভারমুক্ত হবেন? বিএনপির রাজনীতিতে আর কত পরীক্ষা তাকে দিতে হবে? আর যদি মির্জা ফখরুলকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব নাই বা করা হয়, তাহলে অন্য কাউকে কেন ওই দায়িত্ব দেওয়া হয় না? দলের এটা অপূর্ণতা ও সাংগঠনিক দুর্বলতা। প্রধান বিরোধী দলের পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব নিয়োগ না দেওয়ায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে দলের 'দৈন' হিসেবেই দেখছেন। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের একটি অংশের বিরোধিতার কারণেই মির্জা ফখরুলকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব করতে বেগম জিয়াই সিদ্ধান্তহীনতায় বলে জানা গেছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধাদানসহ নানা অভিযোগে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একে একে ৬৩টি অভিযোগ করা হয়। ১৯টিতে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। সাতটি মামলার ইতোমধ্যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র অনেক নেতাই বলছেন, আগামী কাউন্সিল হলেই মির্জা ফখরুল ভারমুক্ত হতে পারেন। তবে তারা এও বলছেন, দলের কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে মির্জা ফখরুলকে এভাবে কতদিন এই 'ভার' নিয়ে থাকতে হবে তাও অনিশ্চিত। আর ভারমুক্ত না থাকার কারণে অনেক সিদ্ধান্ত নিতেও তাকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকতে হয় বলে জানা গেছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি রয়েছে মির্জা ফখরুলের। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ জেলে যাওয়ার পর বেগম জিয়া দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের কোনো বৈঠক ডাকেননি। তাছাড়া সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মহাসচিবের মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। ওই সময় গুলশান কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের আনাগোনা কমে যায়। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আগে কিছুটা দূরত্ব থাকলেও এখন আর সেই সমস্যা নেই। তারেক রহমানের পছন্দের মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুলের পরিচিতিও রয়েছে। তিন বছরে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সফলতার পরিচয় দেন মির্জা ফখরুল। অবশ্য আন্দোলন সংগ্রামের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনার মধ্যেও পড়তে হয়েছে তাকে। তারপরও সব ধকল কাটিয়ে এখনো তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জেলা পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের দেখভাল করছেন তিনি। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তার কোনো গ্রুপিং-লবিং নেই। বিভাজনের সৃষ্টি করে কোনো পকেটের রাজনীতিতেও নেই তিনি। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কিংবা আর্থিক কোনো অনিয়মের অভিযোগও নেই তার বিরুদ্ধে। দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় ওয়ান-ইলেভেনের ত্যাগী নেতা-কর্মী এবং ওই সময়ে 'কথিত' সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল। এ জন্য তাকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখিও পড়তে হয়েছে। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এরপর ২০ মার্চ চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে যান। এ নিয়ে দলে ব্যাপক ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়। ওই সময় দলের প্রভাবশালী নেতাদের কেউ কেউ বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রে 'ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব' বলে কোনো পদ নেই। প্রকাশ্যেই তারা ম্যাডামের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এরই মধ্যে ২৭ মার্চ দেশে ফিরে আসেন খালেদা জিয়া। দেশে ফিরে ৬ এপ্রিল দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকেন। বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের পদ বিন্যাস অনুযায়ী সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। সেই থেকে মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। এরপর ছিলেন কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান (১৯৮৪-১৯৮৬), কে এম ওবায়দুর রহমান (১৯৮৬-১৯৯১), ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার (১৯৯১-১৯৯৬), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (১৯৯৬-২০০৭)। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে বহিষ্কার করা হলে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মহাসচিবের দায়িত্ব পান। কিন্তু কোনো মহাসচিবকে মির্জা ফখরুলের মতো জেল খাটতে হয়নি।

 

জাতীয় পার্টিতে নতুন মেরুকরণ

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

হঠাৎ মহাসচিব পরিবর্তনের ঘটনায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিতে নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। দলের বিভিন্ন স্তরে শুরু হয়েছে নেতৃত্বের লড়াই। একদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে তৎপর নতুন মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। অন্যদিকে হারানো পদ ও ক্ষমতা ফিরে পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, 'মহাসচিব পরিবর্তন করায় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সদ্য সাবেক মহাসচিবের অনুগতরা হঠাৎ করেই দলে কোণঠাসা হয়ে গেছেন। পদ ঠিক রাখতে অনেকেই রাতারাতি পক্ষ পরিবর্তন করে নতুন মহাসচিব তোষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর নতুন মহাসচিবও এ সুযোগে তার অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।' জানা গেছে, দূরত্ব ঘুচিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ তার স্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা রওশনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে পথচলার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তরুণ নেতৃত্ব দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করে আগামীতে দলকে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে চান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। এ জন্য এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্বে থাকা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে ১০ এপ্রিল রাতে হঠাৎ করেই দলের মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেন। দায়িত্ব দেন অপেক্ষাকৃত তরুণ ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে। মহাসচিব পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সুর পাল্টাচ্ছেন জাতীয় পার্টির অনেক নেতা-কর্মী। তারা আগের মহাসচিবের গ্রুপ ত্যাগ করে নতুন মহাসচিবের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। এতদিন হাওলাদারের খুব কাছের ছিলেন, এমন অনেকে মহাসচিব হওয়ার পরপরই জিয়াউদ্দিন বাবলুর আশীর্বাদ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই তার বাসায় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নেতা-কর্মীর পদচারণায় মুখর থাকত গুলশানে রুহুল আমিন হাওলাদের বাড়ি 'হাওলাদার কমপ্লেক্স'। কিন্তু সেখানে এখন নীরবতা। নেতা-কর্মীদের যাওয়া আসা নেই। স্রোত এখন মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদের গুলশানের বাড়িতে। মহাসচিব পরিবর্তনের একদিন পরই এরশাদের বনানী কার্যালয় ও কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দৃশ্য পাল্টে গেছে। বেড়েছে নেতা-কর্মীদের আনাগোনা। নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে তারা নতুন করে মাঠে নেমেছেন। এরশাদ-রওশন ও নতুন মহাসচিবকে খুশি করে পছন্দের পদ বাগিয়ে নিতে চান নেতারা।  

গত শুক্রবার বিকালে নতুন মহাসচিবের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন সেখানে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর খবর আসে তখনই তিনি আসছেন না। পরবর্তীতে গত রবিবার এইচ এম এরশাদ নতুন মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যা অনেক সময় এরশাদের আগমনের খবরেও দেখা যায় না। নেতা-কর্মীদের অনেকে মনে করছেন, জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ভালো যোগাযোগ ও বোঝাপড়া আছে। তাই তার সঙ্গে সখ্য কিংবা সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে সুবিধা পাওয়া যাবে। এজন্য এতদিন হাওলাদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দলের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাও এখন বাবলুর কাছে ভিড়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, পার্টির চেয়ারম্যানের প্রতি অনুগত এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রায় ১৪ বছরের মহাসচিবের পদ হারানোসহ আরও বেশ কিছু ব্যাপারে টেনশনে পড়েছেন। তিনি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আকস্মিক এ পরিবর্তনে প্রস্তুত ছিলেন না। তবে কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাওলাদের মহাসচিব পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং সরকারের সন্তুষ্টির মাধ্যমে রুহুল আমিন হাওলাদারের মহাসচিব পদ ফিরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। সূত্র জানায়, রুহুল আমিন হাওলাদার নিজেও পদ ফিরে পেতে কৌশল অবলম্বন করছেন। এরশাদ যেদিন মহাসচিব পদে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন, সেদিন সংসদে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আশীর্বাদ কামনা করেন। এরশাদের নেতৃত্বে দলকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। মহাসচিবের পদ পেয়ে তিনি দলের ভেতরে একটা অবস্থান তৈরির সুযোগ কাজে লাগাবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। 

জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো পার্টি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে, বিরোধীদলীয় নেতার সার্বিক নির্দেশনায় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দল তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করা। দলকে সংগঠিত করে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া।' সব স্তরের নেতা-কর্মীর সহযোগিতা চেয়ে জিয়াউদ্দিন বাবলু আরও বলেন, 'দশম সংসদে বিরোধী দল হয়ে জাতীয় পার্টি গত ২৪ বছরের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে।' তবে দলের অনেক নেতা-কর্মী এও বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ ওঠার একদিন পরই মহাসচিব পদ থেকে রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠতেই পারে। এটা প্রমাণ হয়নি। তাছাড়া এরশাদ বলেছেন, তার ও রওশন এরশাদের দূরত্ব ঘোচাতে তিনি মহাসচিব পরিবর্তন করেছেন। তাদের দূরত্ব ঘোচানোর জন্য রুহুল আমিন হাওলাদারকে বলি দেওয়া হবে কেন? এখানে রুহুল আমিন হাওলাদারের দোষ বা ব্যর্থতা কোথায়? নিশ্চয়ই মহাসচিব পরিবর্তনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। জানতে চাইলে রুহুল আমিন হাওলাদার এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।
 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি
দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি

এই মাত্র | ভোটের হাওয়া

নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা
নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | শোবিজ

দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু
দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু

৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি
সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১০ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বিশ্বনাথে মোক্তার আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
বিশ্বনাথে মোক্তার আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

১২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত ১
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত ১

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে মান্নানের গণসংযোগ

১৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ডব্লিউটিও’র
বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ডব্লিউটিও’র

১৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বিএনপির কর্মিসভা
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বিএনপির কর্মিসভা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোরহানউদ্দিনে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেলেন ১৫ অস্বচ্ছল নারী
বোরহানউদ্দিনে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেলেন ১৫ অস্বচ্ছল নারী

২০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে : মামুনুল হক
রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে : মামুনুল হক

২৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

বান্দরবানে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে প্রাণবন্ত সাহিত্য বিষয়ক পাঠচক্র
বান্দরবানে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে প্রাণবন্ত সাহিত্য বিষয়ক পাঠচক্র

২৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!
দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকছড়িতে আব্দুর জব্বার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
মানিকছড়িতে আব্দুর জব্বার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমুজ্জামান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমুজ্জামান

৩২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রূপগঞ্জে সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‎বিএনপির প্রস্তুতি সভা
রূপগঞ্জে সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‎বিএনপির প্রস্তুতি সভা

৩২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দামুড়হুদায় নিপা ভাইরাস প্রতিরোধে আলোচনা সভা
দামুড়হুদায় নিপা ভাইরাস প্রতিরোধে আলোচনা সভা

৩৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, গুলিবিদ্ধ ৩
মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, গুলিবিদ্ধ ৩

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা
আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

৪৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে
বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি
মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি

৫৪ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম

৫৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা