গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা যায় না। স্বৈরাচারী আচরণ করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচনে যে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেখানে দেশ ও জনগণের উন্নয়ন নিয়ে কথা না বলে কে কার বিরুদ্ধে কতটুকু কুৎসা রটনা করতে পারেন সে প্রতিযোগিতা চলছে। প্রবাসী শ্রমিকদের ঘামে অর্জিত পয়সা দিয়ে সরকার কুইক রেন্টালের নামে কুইক পকেট ভর্তি করছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। দেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায়।
'বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংকট : উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত 'সাপ্তাহিক বাংলাদেশ' পত্রিকা আয়োজিত এ সভায় আরও বক্তব্য দেন কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ। পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট গবেষক ফরহাদ মজহার বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে স্বামী-সন্তান কেউই নিরাপদ নয়। শুধু দিলি্ল সরকার সমর্থন দেয়। বিশ্বের অন্য কোনো দেশ এ সরকারকে গণতান্ত্রিক মনে করে না। দেশের বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েকটি দেশের সঙ্গে অাঁতাতের ফলে দেশের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ এমন এক অদ্ভুত সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পার করছে যেখানে কেউ বিরোধী দলের পাশে দাঁড়ালেই তাকে রাজাকারের কাতারে ফেলে দেওয়া হয়। যেখানে এয়ারপোর্ট থেকে ভারতীয় গোয়েন্দারা মানুষ তুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে ভারতীয় গোয়েন্দা দেশের সর্বত্র রয়েছে। এ এক অদ্ভুত স্বাধীনতা! আসলে আমার দেশে এখন একটা বিকারগ্রস্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন, কে জানে তারাই রিজওয়ানা হাসানের স্বামীকে বা ইলিয়াস আলীকেও তুলে নিয়ে গেছে কি না। বিএফইউজের নবনির্বাচিত সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ২০১৩ সালে সোয়া ৩ লাখ মানুষকে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। একবার যদি বাঘ রক্তের স্বাদ পেয়ে যায়, তাকে কি আর থামিয়ে রাখা যায়। সভায় আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ডা. রফিক চৌধুরী, ফোবানা নিউইয়র্ক, ২০১৪-এর আহবায়ক হাসানুজ্জামান হাসান প্রমুখ।