শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

সংকটের বহুমাত্রিক দিক- সমাধান কোন পথে?

হায়দার আকবর খান রনো
অনলাইন ভার্সন
সংকটের বহুমাত্রিক দিক- সমাধান কোন পথে?

অবরোধ, হরতাল, সহিংসতা, পেট্রলবোমা, ক্রসফায়ার- সবই একসঙ্গে চলছে। তা-ও এক মাসের বেশি। প্রতিদিন অগি্নদগ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আপাতত এই অবস্থায় কোনো উন্নতির আশা দেখা যাচ্ছে না। বিবদমান দুই পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থেকে পরিস্থিতিকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যা তাদের নিজেদেরই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কদিন আগে (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার লিড নিউজ থেকে জানা যায় যে, এক মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৭২ জন। তার মধ্যে পেট্রলবোমায় ৩৫ জন, ক্রসফায়ারে ১২ জন। স্বাভাবিকভাবে ধরে নেওয়া যেতে পরে, পেট্রলবোমায় ৩৫ জনের মৃত্যুর জন্য বিরোধী দল বিএনপি দায়ী, আর ক্রসফায়ারের দায় সরকারের কাঁধেই পড়ে। উভয়পক্ষই যে এই মৃত্যুর দায়দায়িত্ব অস্বীকার করবে তা জানা কথা। কিন্তু জনগণ উভয়পক্ষকেই এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী মনে করছে। এটাই হলো পাবলিক পারসেপশন।

প্রথমে ধরা যাক বিরোধী পক্ষের কথা। তারা বলছেন, 'ওসব আমরা করছি না'। তবে কে করছে? কে ছুড়ছে পেট্রলবোমা? তারা বলবেন 'ওসব সরকারি দল করছে, আন্দোলনকারীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনার অপপ্রয়াস।' মনে পড়ে, ঠিক এমন ধরনের কথা একদিন আওয়ামী লীগও বলেছিল। ২০০৪ সালে যখন এক হরতালের আগের রাতে ঢাকার রাস্তায় এক বাসে গানপাউডার দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ১১ জনকে। পাবলিক পারসেপশন ছিল ওকাজ সেদিন আওয়ামী লীগই করেছিল কিন্তু আওয়ামী নেতৃত্ব বলেছিলেন, ওই গানপাউডার দিয়েছে সরকারি এজেন্সি, আমরা নই। এখন একই ধরনের কথা বলছেন, আজকের বিরোধী দল বিএনপি। কোনটা বিশ্বাস করব?

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনাটি যেমন রহস্যজনক তেমনি তা গোটা বিষয়কে আরও জটিল করে তুলেছে। রিয়াজ রহমানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সরকার এখনো নিশ্চুপ। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে কেন?

অন্যদিকে বিএনপি যতই অস্বীকার করুক না কেন, পেট্রলবোমার দায় তাকেই নিতে হবে। অথবা বিএনপি নেতৃত্বকে পরিষ্কার ভাষায় দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলতে হবে, 'যে বা যারা পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মতো জঘন্য কাজ করছে, তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক।' এমন বিবৃতি এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বের কাছ থেকে আসেনি।

বিএনপি নেতৃত্ব যদি অভিযোগ করে যে, 'আমাদের জন্য শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলনের সব পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে', তাহলে সেই বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। একমত হবেন সরকারদলীয় লোকজন অথবা দলকানা বুদ্ধিজীবী বাদে সবাই। বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার বাসায় বিষাক্ত গ্যাস নিক্ষেপ, বাড়ির সামনে বালির ট্রাক দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি, বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়া- সরকারের এসব ফ্যাসিসুলভ আচরণের তীব্র নিন্দা জানাবে সব গণতান্ত্রিক মানুষ। কিন্তু তাই বলে সন্ত্রাসী পথ অনুমোদন করা যায় না। পৃথিবীতে নানা ধরনের সন্ত্রাসবাদী কাজের অভিজ্ঞতা আছে। এনারকিজম, নিহিলিজম, ব্লঙ্কিজম, টেররিজম- নানা ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। সর্বক্ষেত্রে সন্ত্রাসী হামলার বিশেষ টার্গেট থাকে। সাধারণত রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো সংস্থা অথবা তাদের চোখে দুশমন কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি টার্গেট হন। কিন্তু কোথাও সাধারণ মানুষকে টার্গেট করার মতো ঘটনা নেই। নিরীহ বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার দৃশ্য কোথাও দেখা যায়নি। এমন কি সন্ত্রাসী আন্দোলনের সংজ্ঞার মধ্যেও এটা পড়ে না।

অবশ্য এই কথা দ্বারা যেন আমাকে ভুল বোঝা না হয়। আমি কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে সমর্থন করি না। কারণ আমি মার্কসবাদী। মার্কসবাদ নিপীড়িত জনগণের, মেহনতি মানুষের গণবিপ্লবে বিশ্বাস করে, ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদে নয়।

এখন যে ধরনের সন্ত্রাস চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অবরোধের কারণে যে শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটাও জাতির জন্য কম ক্ষতির নয়। আমরা দেখেছি, বিএনপি ধনীর সন্তান, যারা 'এ', 'ও' লেভেল পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য ছাড় দিলেও এসএসসি পরীক্ষার জন্য ছাড় দেয়নি। খুব স্বাভাবিক। এটা তাদের শ্রেণির স্বার্থের সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ। এদিক দিয়ে আবার বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুইয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দুই দল ধনিক শ্রেণির প্রতিনিধি। বিগত সংসদ অথবা আজকের ভুয়া ভোটে গঠিত সংসদ সবই ধনিক শ্রেণির ক্লাব মাত্র। খালেদা জিয়ার নাতনি যেমন মালেশিয়ায় পড়ে, তেমনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতাদের ছেলে-মেয়েরা হয় বিদেশে পড়ে, না হয় 'ও' লেভেল 'এ' লেভেল পড়ে। খোঁজ নিয়ে দেখবেন জামায়াতের নেতাদের সন্তানরাও বিদেশে পড়ে। নিশ্চিতভাবেই তারা মাদ্রাসায় পড়ে না। এখানে আরও উল্লেখ্য, ১৯৯৪-৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে হরতাল করেছিল, তখনো কিন্তু তারা পরীক্ষার জন্য ছাড় দেয়নি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় (৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) সাংবাদিক, লেখক কাজী সিরাজ লিখেছেন 'এবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালে এ পর্যন্ত দুই দিন পরীক্ষা পিছিয়েছে, সেবার পিছিয়েছিল দুই মাস।'

সাধারণ জনগণের প্রতি সামান্যতম দরদ নেই, গণবিরোধী ধনিক শ্রেণির এই দুই দলের। সেজন্য দেখা যাচ্ছে যে, আন্দোলনকারীরা যেমন জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাস্তায় নামতে পাড়ছেন না, চোরাগোপ্তা, বোমাবাজির পথ নিয়েছেন। সরকার পক্ষও তেমনি র্যাব-পুলিশ ছাড়া জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তুলতে পারছেন না। আন্দোলনকারীরা বলবেন, পথে নামলেই গ্রেফতার করে, কীভাবে শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন হবে? এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সংগ্রামী রাজনৈতিক দল প্রতিকূল অবস্থায় জনগণকে আন্দোলনের মাঠে নামাতে পারে। এখন হয়তো বিএনপির জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি (উপজেলা নির্বাচনে সেটাই প্রমাণিত হয়)। কিন্তু তাই বলে বিএনপির ডাকে জানবাজি রেখে মানুষ রাস্তায় নামবে কেন?

অন্যদিকে বিরোধী জোটের সহিংসতার বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষকে সমবেত করতে পারছে না কেন সরকার? তারা তো ক্ষমতায় আছে। তারপরও সরকারকে কেন শুধু র্যাব-পুলিশের ওপর নির্ভর করতে হবে? কারণ জনগণ সরকারের সঙ্গে নেই। এমনকি নিজের দলও নেই। তৃণমূল পর্যায় ও মাঝারি পর্যায় সরকারি দল ব্যস্ত টেন্ডারবাজি নিয়ে, লুটপাট ও দুর্নীতি নিয়ে। আবার ভাগ নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি খুনাখুনিতেই ব্যস্ত। অন্য কাজে মন দেওয়ার প্রয়োজন কী? সময়ই বা কোথায়? আইন শালিস কেন্দ্রের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, গত ছয় বছর আওয়ামী রাজত্বকালে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে এক হাজার একশত এগারো বার। তাতে নিজেদের মধ্যে খুনাখুনিতে নিহত হয়েছে ১৭২ জন, আহত হয়েছেন ১৩ হাজারেরও বেশি। এহেন দল কি দেশ উদ্ধার করবে?

লক্ষণীয় বিষয় হলো, এই সময়কালে বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও তারাও কম যায় না। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তাদের নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন এবং আহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬২ জন।

লুটেরা শ্রেণির প্রতিনিধি এই দুই দল দিয়ে আর কিই বা আশা করা যায়। এখন তারা ক্ষমতার কামড়াকামড়িতে এতই হিংস হয়ে উঠেছে যে, মানুষ আজ অগি্নদগ্ধ হচ্ছে, মানুষ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। একদল যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় যেতে যায়। সে জন্য পেট্রলবোমা ব্যবহারে আপত্তি নেই। অপরদল প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দখল করা গদি অাঁকড়ে রাখার জন্য ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে। তাই গুম-খুনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। আইনবহির্ভূত হত্যা এর আগেও ছিল। আইন ও শালিস কেন্দ্রের পর্যালোচনা থেকে জানা যায়, তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারে ২০১৩ সালে মারা গেছেন ৭২ জন, ২০১৪ সালে ১২৮ জন। ২০১৪ সালে গুম ও গুপ্তহত্যার শিকার ৮৮ জন। যার মধ্যে ২৩ জনের লাশ পাওয়া যায়নি। এদের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ রাজনৈতিক হত্যা বলে অনুমান করা অসঙ্গত নয়।

সরকার ও সরকারি দল বর্তমান সংকটকে রাজনৈতিক সংকট বলেও মানতে চাচ্ছেন না। তাই রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার ইচ্ছা নেই। এমনকি এক সপ্তাহের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে- এমন কথাও শুনিয়েছেন বারবার। জানি না কয় সপ্তাহে এক সপ্তাহ হয়। এতদিন পরে হলেও অর্থমন্ত্রী পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, ঢাকা স্বাভাবিক মনে হলেও জেলাগুলোর পরিস্থিতি ভয়াবহ। চোখ বুজে থাকলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়? আমরা কি দেখছি না সারা দেশের পরিস্থিতি এবং সেই সঙ্গে সরকারের নিদারুণ ব্যর্থতা। এর প্রধান কারণ সরকার জনগণের দ্বারা সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার পরিবর্তে খুব বেশি মাত্রায় পুলিশ-র্যাবের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এর ফলে পুলিশ-র্যাব মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতাশীল হয়ে উঠেছে। দেশ যেন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

এই মারাত্মক পরিস্থিতির কিছু লক্ষণ পাওয়া গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বড় কর্তাদের কথাবার্তা থেকে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেই বসলেন যে, ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন সংক্রান্ত এই কথা বলার অধিকার তাকে কে দিল? এরকম রাজনৈতিক বক্তব্য যে অনধিকার চর্চা তাই নয়, রীতিমতো অপরাধও বটে। কিছুদিন আগে বিজিবি প্রধানের এক বক্তব্যকে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক 'আইনের পরিপন্থী' বলে মনে করেছেন। পুলিশ এখন রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলছেন ও আচরণ করছেন, অন্যদিকে রাজনীতিবিদরা পুলিশের মতো কথা বলছেন। সরকারি জোটের জাসদের এক সংসদ সদস্য বলেই বসলেন, 'এবার পায়ে না, বুকে গুলি চালানো হবে'। কোন পরিস্থিতিতে দেহের কোন অংশে গুলি চালাবে, তা পুলিশ ঠিক করবে। এর জন্য নির্দিষ্ট বিধিমালাও আছে। সরকারি সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলে পার পেয়ে যান। কিন্তু বিরোধী পক্ষের কেউ এই ধরনের কথা বললে তাকে নিশ্চয়ই 'হুকুমের আসামি' করা হতো। পুলিশের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে র্যাব-পুলিশের ঔদ্ধত্যও বেড়ে গেছে। র্যাবের মহাপরিচালক বলেছেন, 'অপরাধ দমন করতেই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অস্ত্র দিয়েছে, হাডুডু খেলার জন্য নয়।' এ ভাষা তো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সেবক পুলিশের ভাষা নয়। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বলেছেন, 'একটি লাশ পড়লে এর পরিবর্তে দুটি লাশ ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশের আছে।' না নেই। এমন ক্ষমতা দেশের আইন পুলিশকে দেয়নি। আর এই ভাষায় কথা বলার অধিকারও তার নেই।

পুলিশকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও গ্রেফতার বাণিজ্য শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে। এই প্রসঙ্গে ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল 'জামিনের জন্য আওয়ামী লীগে প্রত্যয়নপত্র-বোমাবাজরা সৎ ও মেধাবী'। উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হাতে নাতে ধরা পড়া বোমাবাজদের জামিনে ছাড়িয়ে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা, তাদের পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন যে, আসামিরা সৎ, মেধাবী এবং আওয়ামী লীগের সদস্য। এরকম বেশ কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, 'সারা দেশে এমন শত শত আসামির পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জামিন করে ছাড়িয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।'

এ বড় বিপজ্জনক কথা। এখানে তিনটি সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারি। ১. বোমা নিক্ষেপকারীরা আসলেই আওয়ামী কর্মী। বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য তারাই বোমাবাজি করছে। একথা মানলে বিএনপির অভিযোগ সত্য হয়। ২. তারা আসলে আওয়ামী কর্মী নন। বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী নেতারা প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন। এটা সত্য হলে বলতে হবে যে, দুর্নীতিবাজ দল দ্বারা এবং সেই দলের সরকারের দ্বারা আর যাই হোক দেশের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ৩. আসলেই আসামিরা নির্দোষ, হয় তো আওয়ামী কর্মীও হতে পারে, গ্রেফতার বাণিজ্যে লিপ্ত পুলিশ গণহারে গ্রেফতার করছে। সেক্ষেত্রে এমন পুলিশ দিয়েও পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। সব দিক বিবেচনায় আনলে এটা বলতেই হবে যে, পরিস্থিতি খুবই জটিল। এর সমাধান খুঁজতে হবে রাজনৈতিকভাবে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে। উভয়পক্ষের গোঁয়ারতুমির পরিণতিতে চূড়ান্তভাবে কেউই জিতবে না। পরাজিত হবে দেশ।

আমি আশা করব সবারই শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সমস্যা এত জটিল ও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, এখন সব কার্যকর রাজনৈতিক দল (জামায়াত বাদে) এবং বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে ঐকমত্যে আসার উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয় ভিত্তিতে ব্যাপক আলোচনা-সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক আচরণ সংক্রান্ত সাধারণ ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে।

বিএনপিকে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে। সহিংসতা পরিত্যাগ করতে হবে। সরকারকে গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবার জন্য সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে। বিরোধীপক্ষের নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শেষ কথা বলবে জনগণ। দুই দলের বাইরেও আছে বিশাল জনগণ এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তি ও রাজনৈতিক দল। সবাইকে নিয়েই কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছতে হবে। এটা কি খুব বেশি চাওয়া হয়ে গেল?

এটুকু যদি আমরা না করতে পারি তাহলে আজকের সংকটের পরিণতি কোথায় দাঁড়াবে তা বলতে পরব না। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এর পরিণতিতে জনগণ বেশ দীর্ঘদিনের জন্য হারাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সেই সময়টা খুবই দীর্ঘ হতে পারে।

লেখক : রাজনীতিক।

 

এই বিভাগের আরও খবর
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
গরিবি হটাও, গরিব নয়
গরিবি হটাও, গরিব নয়
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
সুখের নদীতে দুঃখের ভেলা
সুখের নদীতে দুঃখের ভেলা
ধেয়ে আসছে সংকট, আমরা কতটা প্রস্তুত?
ধেয়ে আসছে সংকট, আমরা কতটা প্রস্তুত?
জামায়াতের অভিমান, আশাহত জনগণ
জামায়াতের অভিমান, আশাহত জনগণ
মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ
মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
সর্বশেষ খবর
তিন পরিবর্তন নিয়ে মিয়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ
তিন পরিবর্তন নিয়ে মিয়ানমার যাচ্ছে বাংলাদেশ

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন
সিলেটে হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইংল্যান্ডের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন ডাকেট
ইংল্যান্ডের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন ডাকেট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিরাজকে হুমকি মনে করছেন না ধনাঞ্জয়া
মিরাজকে হুমকি মনে করছেন না ধনাঞ্জয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকে বালুর নিচ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় কসমেটিকস উদ্ধার
ট্রাকে বালুর নিচ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় কসমেটিকস উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ছাড়াল
রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ছাড়াল

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণে শ্বশুরের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে পুত্রবধূকে ধর্ষণে শ্বশুরের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুমের ঘটনায় ব্যক্তির চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতিতে ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’ হিসেবে দেখছে কমিশন
গুমের ঘটনায় ব্যক্তির চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতিতে ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’ হিসেবে দেখছে কমিশন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ক্লাব বিশ্বকাপে রাতে বায়ার্নের মুখোমুখি বেনফিকা
ক্লাব বিশ্বকাপে রাতে বায়ার্নের মুখোমুখি বেনফিকা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে পৃথক বাসের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১১
এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে পৃথক বাসের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অবস্থান
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অবস্থান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছয় দফা দাবিতে বড়াইগ্রামে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান
ছয় দফা দাবিতে বড়াইগ্রামে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী হাসপাতালে
কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী হাসপাতালে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা
গাইবান্ধায় ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের ফোনের পর নতুন হামলা থেকে বিরত নেতানিয়াহু: ইসরায়েল
ট্রাম্পের ফোনের পর নতুন হামলা থেকে বিরত নেতানিয়াহু: ইসরায়েল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু সংশোধনে শুধু রাজনৈতিক নয়, একাডেমিক নিয়েও ভাবতে হবে : উমামা ফাতেমা
ডাকসু সংশোধনে শুধু রাজনৈতিক নয়, একাডেমিক নিয়েও ভাবতে হবে : উমামা ফাতেমা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি
প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউরোপীয় নাগরিক আটক
ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউরোপীয় নাগরিক আটক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজে ঘরে বন্য হাতির আক্রমণে গৃহবধূ নিহত
নিজে ঘরে বন্য হাতির আক্রমণে গৃহবধূ নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুম প্রতিরোধে শিগগিরই আইন প্রণয়ন : আসিফ নজরুল
গুম প্রতিরোধে শিগগিরই আইন প্রণয়ন : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জমি নিয়ে বিরোধে শিশুর মাথায় ইটের আঘাত
জমি নিয়ে বিরোধে শিশুর মাথায় ইটের আঘাত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রয়োজনে আমাকে ধরে নিয়ে বুকে গুলি চালায় দেন: ইশরাক
প্রয়োজনে আমাকে ধরে নিয়ে বুকে গুলি চালায় দেন: ইশরাক

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় পদ ফিরে পেলেন যুবদলের ৫ নেতা
বগুড়ায় পদ ফিরে পেলেন যুবদলের ৫ নেতা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!
কলা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর রুদ্ধশ্বাস মধ্যরাতে যা যা ঘটলো
মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর রুদ্ধশ্বাস মধ্যরাতে যা যা ঘটলো

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান
হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেজ্জিল-২: যে ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দুঃস্বপ্ন
সেজ্জিল-২: যে ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দুঃস্বপ্ন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার আগে সতর্ক করায় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ট্রাম্পের!
মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার আগে সতর্ক করায় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ট্রাম্পের!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইরান
কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইরান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলে এক ঘণ্টায় ৬ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলে এক ঘণ্টায় ৬ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে এবার মুখ খুলল চীন
ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে এবার মুখ খুলল চীন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা
‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ইসরায়েলকে কঠোর ভাষায় শাসালেন ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ইসরায়েলকে কঠোর ভাষায় শাসালেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার
ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা 'সম্পূর্ণ মিথ্যা', দাবি ইরানি সংবাদ সংস্থার
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা 'সম্পূর্ণ মিথ্যা', দাবি ইরানি সংবাদ সংস্থার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যপ্রাচ্যে কাতারসহ যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে
মধ্যপ্রাচ্যে কাতারসহ যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি
কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের
কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ
বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজাকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজাকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আছে ৮ হাজার মার্কিন সেনা
কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আছে ৮ হাজার মার্কিন সেনা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম
মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে যা বলল ইরানের সুপ্রিম কাউন্সিল
যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে যা বলল ইরানের সুপ্রিম কাউন্সিল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন’
‘জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল: বিশ্লেষক
ইরানে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল: বিশ্লেষক

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত
কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর ‘অত্যন্ত বিরক্ত’ ট্রাম্প
নেতানিয়াহুর ওপর ‘অত্যন্ত বিরক্ত’ ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩, বহু আহত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩, বহু আহত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে আবারও তীব্র হামলার নির্দেশ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ইরানে আবারও তীব্র হামলার নির্দেশ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের ৫৭ কলেজের নাম পরিবর্তন
দেশের ৫৭ কলেজের নাম পরিবর্তন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সহপাঠীকে ধর্ষণের পর ভিডিও : শাবিপ্রবির সেই ২ ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার
সহপাঠীকে ধর্ষণের পর ভিডিও : শাবিপ্রবির সেই ২ ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্পষ্ট অবস্থান নিয়েই ইরানকে সমর্থন করেছি : রাশিয়া
স্পষ্ট অবস্থান নিয়েই ইরানকে সমর্থন করেছি : রাশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘাঁটিতে হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘকে কাতারের চিঠি, ইরানের রাষ্ট্রদূত তলব
ঘাঁটিতে হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘকে কাতারের চিঠি, ইরানের রাষ্ট্রদূত তলব

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আমানত নিয়ে উৎকণ্ঠায় বিনিয়োগকারীরা
আমানত নিয়ে উৎকণ্ঠায় বিনিয়োগকারীরা

শিল্প বাণিজ্য

হাসিনা পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ
হাসিনা পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিপুর দুই গডফাদার জয় ও ববি
বিপুর দুই গডফাদার জয় ও ববি

প্রথম পৃষ্ঠা

হরমুজ প্রণালি নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা
হরমুজ প্রণালি নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যত বাধা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যত বাধা

খবর

সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

পেছনের পৃষ্ঠা

নগদের অনুমোদন বাতিল চায় বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদের অনুমোদন বাতিল চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

পেছনের পৃষ্ঠা

মুক্তা চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
মুক্তা চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি

পেছনের পৃষ্ঠা

বেপরোয়া মব সন্ত্রাসে উৎকণ্ঠা
বেপরোয়া মব সন্ত্রাসে উৎকণ্ঠা

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের
ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের

নগর জীবন

অচলাবস্থা কাটছে না সচিবালয়ে
অচলাবস্থা কাটছে না সচিবালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটে পড়বে বেসরকারি খাত
সংকটে পড়বে বেসরকারি খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক মার্কিন দূতের
আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক মার্কিন দূতের

পূর্ব-পশ্চিম

হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?
হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?

স্বাস্থ্য

নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ছাত্রদল নেত্রীর লাশ চার দিন পর উদ্ধার
নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ছাত্রদল নেত্রীর লাশ চার দিন পর উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে বিধানসভা উপনির্বাচনে নাটকীয় ফল
ভারতে বিধানসভা উপনির্বাচনে নাটকীয় ফল

পেছনের পৃষ্ঠা

নিত্যপণ্যের দাম জানা যাবে মোবাইলে
নিত্যপণ্যের দাম জানা যাবে মোবাইলে

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার শাস্তি
অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার শাস্তি

সম্পাদকীয়

ফেরদৌসী মজুমদারের আফসোস নেই
ফেরদৌসী মজুমদারের আফসোস নেই

শোবিজ

এমন আবহাওয়া ২০ বছর দেখেনি রাজশাহী
এমন আবহাওয়া ২০ বছর দেখেনি রাজশাহী

নগর জীবন

ফলমেলার সামাজিক প্রভাব
ফলমেলার সামাজিক প্রভাব

সম্পাদকীয়

সন্ত্রাসী-সেনাবাহিনী গোলাগুলি, নিহত ১
সন্ত্রাসী-সেনাবাহিনী গোলাগুলি, নিহত ১

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প
ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কে সোনাক্ষী
বিতর্কে সোনাক্ষী

শোবিজ

এয়ার ইন্ডিয়ার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি
এয়ার ইন্ডিয়ার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি

পূর্ব-পশ্চিম

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া

স্বাস্থ্য

টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট নিয়ে নতুন নিয়ম
টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট নিয়ে নতুন নিয়ম

নগর জীবন

ইরানে হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ
ইরানে হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা