৮ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:২০

করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যে চলছে গুজব ভাইরাস!

মোহাম্মদ এ. আরাফাত

করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যে চলছে গুজব ভাইরাস!

মোহাম্মদ এ. আরাফাত

দ্রুত পরীক্ষণ কিট বা র‍্যাপিড টেস্ট কিট এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO দ্বারা অনুমোদিত নয়।

যে বা যারা বলছে ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ আর ‘করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)’ এর শনাক্তকরণ পরীক্ষা একই রকম তারা ডাহা মিথ্যা বলছে।

মাত্র ১৫ মিনিটে ‘করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)’ টেস্ট করা যায় বলে কিছু গুজববাজ যে বক্তব্য দিয়েছে তা সত্য নয়। পিসিআর টেস্ট ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত কোন দ্রুত পরীক্ষণ কিট (Rapid Testing Kit) অনুমোদন দেয়নি।

কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদন হতে হয়। এটা কোন দেশ বা সরকার অনুমোদন দিতে পারে না। শতভাগ নির্ভুল নয় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত কোন র‍্যাপিড টেস্ট কিট অনুমোদন দেয়নি। চীনে নির্মিত র‍্যাপিড টেস্ট কিট যথেষ্ঠ নির্ভুল না হওয়ার কারণে এগুলো ব্যবহার করে স্পেন ও বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো আরো বিপদে পড়েছে এবং পরবর্তিতে এগুলো তারা ফেরত পাঠিয়েছে। 

করোনার পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু কথা:

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর টেস্ট খুব জটিল একটি প্রক্রিয়া। পুরো টেস্ট প্রক্রিয়াতে অনেকগুলো ধাপ আছে যেখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে, যে কারণে অনেক সময় নিয়ে যথেষ্ট মনযোগ দিয়ে প্রতিটি ধাপের কাজগুলো নিষ্পন্ন করতে হয়। পিপেটিং বা Pipetting অর্থাৎ যার মাধ্যমে স্যাম্পল, রি-এজেন্ট যোগ করা হয়- এই কাজটি করতেও একটি বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। এটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মত নয় যে মেশিনে দিলেই রেজাল্ট চলে আসে। আর যারা বলছে প্রেগন্যান্সি টেস্টের মতো সহজ, তাদেরকে নিয়ে আমার কিছুই বলার নাই -আল্লাহ তাদের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটান! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও শুরুতে হোঁচট খেয়েছে টেস্টিং কিট যোগাড় করতে এবং করোনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা করতে। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি ল্যাবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে দক্ষ বা স্কিলড টেকনোলজিস্টের অভাব। এটি হুটহাট করে মহামারীর সময় স্কিলড ম্যানপাওয়ার তৈরি করা অনেক কঠিন কাজ।   

যখন পুরো দেশ এবং বিশ্ব একটি কঠিন সময় পার করছে তখন গুজববাজরা এখনও পানি ঘোলা করে ফায়দা নেয়ার ধান্দায় ব্যস্ত।

 

সর্বশেষ খবর