আমেরিকায় ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের ১৩ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী হয়ে পড়েন গৃহহারা। অভিভাবকেরা মন্দার শিকার হওয়ায় এহেন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। এদের অধিকাংশকেই রাস্তা অথবা রেল স্টেশন কিংবা কোন আশ্রয় শিবিরে দিনাতিপাত করতে হয়। ‘গ্র্যাড নেশন’ নামক একটি গবেষণা সংস্থা পরিচালিত জরিপের অন্যতম কর্মকর্তা জন ব্রিজল্যান্ড এহেন পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আমি হতভম্ব, হে ঈশ্বর, আমরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শুধুমাত্র হাইস্কুল ছাত্র-ছাত্রী ঝরে পড়ার তথ্য সংগ্রহ করছি। একইসাথে সংখ্যালঘু এবং স্বল্প আয়ের পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ভাবছি। এমনকি চলন-শক্তিহীন এবং ইংরেজী জানে না এমন ছাত্র-ছাত্রীরাও আমাদের দৃষ্টির মধ্যে। এসব সেক্টরই আমাদের অন্যতম টেনশনের কারণ। কিন্তু এরচেয়েও যে ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি গ্রাস করছে কলেজ-ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের, সেটি খেয়াল করছি না। গত শিক্ষাবর্ষেও গৃহহীন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষাধিক।
গৃহহীনদের নিয়ে ওই জরিপে জানা যায়, স্কুল-কলেজ থেকে ঝরে পড়াদের ৪২% হচ্ছে গৃহহীন। এদের সকলেই পার্ক করা গাড়ি অথবা পতিত ভবন, রেল অথবা বাস স্টেশন কিংবা অন্য কোন স্থানে রাত কাটাচ্ছে। নির্ঘুম রাত কাটে অনেকের পার্কে বেঞ্চের ওপর, আবার কেউ কেউ ট্রেনের কামরাকে রাত কাটানোর অবলম্বনে পরিণত করে। এসব ছাত্র-ছাত্রীর ৬২% বলেছে যে, এহেন অবস্থা থেকে উত্তরণে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন ভূমিকাই পালন করে না। ৫৮% বলেছে যে, এহেন অবস্থার উত্তরণে সিটি অথবা অন্য কোন সংস্থার সাথে নেটওয়ার্ক গড়তেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে না।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ জুন, ২০১৬/ আফরোজ