ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার (১৪ এপ্রিল) পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় ও পোল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে ভিস্তলা ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উদযাপিত হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ভিস্তলা ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে পোল্যান্ডে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার পরিজন শিক্ষার্থীসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রঙিন পাঞ্জাবি ও শাড়ি পড়ে সপরিবারে অংশ নেন।
এ সময় একক ও সমবেত সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সমকালীন পোশাক প্রদর্শন করা হয়।
পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বৈশাখের উত্তাপ আর ঝড়-ঝঞ্ঝা পুরনোকে ভেঙে নতুনকে সৃষ্টি করার শক্তির প্রতীক। বাঙালির নতুন বছরে জীবনকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলার সংকল্প করার এটিই উপযুক্ত সময়।
মাহফুজুর রহমান বাংলা সনের উৎপত্তি ও নববর্ষ পালনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন বাঙালির সবচেয়ে বড় ও সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
বিগত বছরের সকল দুঃখ গ্লানি মুছে দিয়ে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি এবং একতা প্রতিষ্ঠায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ বৈশাখি সংগীত পরিশেনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি তুলে ধরে বাংলাদেশি পরিবার দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশি শিশুরা কয়েকটি নৃত্য, সংগীত এবং আবৃত্তি পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান অনির্বাণ নিয়োগী দূতাবাসের কাউন্সিলর মাসুদ আহমদ বাংলাদেশ কমিউনিটির ড. মাহবুবুর রহমান অশোক শেন, শাহরুল আলম,তানিয়া মাহবুব, আলম, তাপশ, তন্বয়, উৎসব, আদ্রিয়ানা, বারসাত, তুলি বড়ুয়া, বারি।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষ থেকে ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, নববর্ষ সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের প্রাণের স্পন্দন আরও দৃঢ় করে। সেই সঙ্গে পোল্যান্ডে বাংলাদেশি দূতাবাসের সহযোগিতায় আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের জাতীয় অনুষ্ঠান করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম