এবার বাহরাইনে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন ব্যাগেজ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। বিমানবন্দর পরিচালনা সংস্থার (বিআইএ) এই নীতিমালা পূর্বে আংশিক চালু ছিল। তবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে এটি পুরোপুরি কার্যকর হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ব্যাগেজ অপসারণের পদ্ধতির বিড়ম্বনা এড়াতে এবং বিমানবন্দর অপারেটর ও যাত্রীর সুবিধার্থে এ নীতিমালা প্রণয়ণ করা হয়েছে।
গ্রহনকৃত এসব নীতিমালার মধ্যে রয়েছে লম্বা, বৃত্তাকার, নরম, ছেঁড়া, ছিদ্র যুক্ত, অসমতল বা অনিয়মিত ব্যাগেজ আলগা দড়ি দিয়ে বাঁধা যাবে না, বস্তা, কাপড় ও কম্বল দিয়ে মোড়ানো গোলাকার ব্যাগেজ আলগা দড়ি দিয়ে বাঁধা যাবে না। লম্বা রশি ও ফিতাসহ লাগেজ রাখা ও এছাড়া হাত ব্যাগে নিষিদ্ধ বস্তু বহন করা যাবে না। নিষিদ্ধ বস্তুর মধ্যে রয়েছে লাইটার, দিয়াশলাই, শ্বাসকষ্টের স্প্রে ছাড়া কোন রকমের স্প্রে জাতীয় পণ্য, যেমন পারফিউমসহ আরো অন্যান্য জিনিস, তরল জাতীয় পদার্থ যেমন শেম্পু ও জেলিসহ নানা রকমের প্রসাধনী ও এসিডিক পদার্থ। ইলেক্ট্রিক সকেট, প্লাগ, এবং চুম্বক থাকতে পারে এমন কিছুও হাত ব্যাগে বহন করা যাবে না। এসব থাকলে যাত্রীদের পড়তে হবে বিপদে, স্বীকার হতে হবে ভোগান্তির।
তবে বাচ্চাদের ট্রলার, হুইল চেয়ার, বাইসাইকেল, স্বর্ণের ব্যাগ, ল্যাপটপ, ক্যামেরা ইত্যাদি সাথে নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের অনুমতি বলবৎ রয়েছে। বিশেষ করে নিয়মিত আকারের ভ্রমণ লাগেজ বহন করা নীতি সম্মত। গাল্ফএয়ার যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত মালামাল হাত ব্যাগে ৭-৮ কেজি ছাড়া বাকী মালামাল দুই কার্টন বা ব্যাগেজে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
এর চেয়ে বেশির প্রয়োজন হলে নিদ্রিষ্ট ট্রাভেলসের মাধ্যমে অতিরিক্ত মালের জন্য ১০০ ডলার (৩৮)দিনার পরিশোধ করে অতিরিক্ত ২৩ কেজির ব্যাগেজ বা কার্টনসহ মোট ৩ টি ব্যাগেজ নেওয়া যাবে। গাল্ফএয়ারের ক্ষেত্রে আরো একটি সুবিধা রয়েছে যে হয়রানি কিংবা বিড়ম্বনা এড়াতে এবং ওজনের নিশ্চিত করতে, ভ্রমণের ২৪ ঘণ্টা পূর্ব থেকে যে কোন সময় ওজন করে পলিথিন মুড়িয়ে তা বুকিং দেয়া যায়। নচেৎ কেজি প্রতি বিমানবন্দরে পরিশোধ করতে হবে ৭-১৫ দিনার। তবে রেপিং প্রত্যেক বিমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দড়ি বা লাইনারের সাথে আবদ্ধ অনিয়মিত আকারের উপাদানগুলো কনভেয়ার বেল্টগুলোতে এসিলিসনাগ করতে পারে। যার ফলে সিস্টেম ডাউন টাইম হয়। অন্য যাত্রীদের প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়।
কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, এ নীতিমালার অধীনে বিমানবন্দর কর্মীদের তাদের প্রতিদিনের দায়িত্ব পালনে আরো সুরক্ষিত এবং কার্যকর সেবা সরবরাহে সহায়তা করবে। এতে সময়ের অপচয় রোধ করে বিড়ম্বনা দূর করবে। এতে যাত্রীদের জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতিও কমবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা