কানাডার লন্ডনের অন্টারিওতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ছোট এই বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সবার অংশগ্রহণে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়।
গত শনিবার বাংলা স্কুল এবং বাংলা সঙ্গীত শেখানোর স্কুলের শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা গান-কবিতা-নাচ পরিবেশনা করেন।
মিডওয়ে কমিউনিটি সেন্টারে প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান গেয়ে নিজেদের তৈরি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাংলা স্কুলের শিক্ষক শেলী গঞ্জাল্ভেজের নির্দেশনায় স্কুলের শিক্ষক আরাফ, রুবামা, অহনা, অস্মিতা, জয়ীতা, মানহা, রাহমা, জারা, অমিয়, রাতিব, আহমেদ, আলীনা, জায়ীম, নাশিতা, রুকাইয়াত, তাহীম, অনুস্তাপ,সাবাহ, আদিব, আদৃতা, তাহসান, সামীদ, সাকীফ সমস্বরে বাংলা বর্ণ উচ্চারণ করেন। এ সময় কাজী কাদের নেওয়াজের ‘মা’ এবং আল-মাহমুদের ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’ কবিতাটি আবৃতি করা হয়। ‘ক-এ কলা খ-খাই’ গান পরিবেশন করা হয়। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলা স্কুলের দুই স্বেচ্ছাসেবক জয় এবং অরিত্র।
এরপর ছিল ‘পিন্দারে পলাশের বন’ গানের সাথে রোদেলার একক নৃত্য।
বাংলা সঙ্গীত স্কুলের শিক্ষক শাওন সেঁজুতি’র নির্দেশনায় ওমেরা, শারীন, তাহসান, সামীদ, সাকীফ, রাতিব, জয়ীতা, অহনা, অস্মিতা, নাশিতা, তাহীম, আহনাফ, নওরোজ, সাবীন, সারিয়াহ, জয়, তাশফিন, অরিত্র ও শিঞ্জনের অংশগ্রহণে একে একে আজব দেশের ধন্য রাজা, গ্রীষ্ম বর্ষা শরত, হেমন্ত, পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আজ ধানের খেতে, শুকনো পাতার নূপুর পায়ে, আমি বাংলায় গান গাই, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গান গুলো গাওয়া হয়। সবশেষে সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সাংস্কৃতিক পর্ব সম্পন্ন হয়।
দূর প্রবাসে বেড়ে ওঠা আমাদের শিশু-কিশোর-কিশোরীরা তাদের শেকড়ের ভাষা আর সংস্কৃতিকে দারুণভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়। সবশেষে ক্ষুদে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র এবং শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় ছিলেন তানিয়া রুবাইয়াত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন