আমেরিকার ফেডারেল রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) সর্বশেষ এক সতর্কবার্তায় বলেছে, অতি মোটা মানুষেরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এমনকি যাদের ওজন বেশি তারাও মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রাপ্ত বয়স্কদের ৪০ শতাংশ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মোটা। এ ছাড়া আরও ৩২ শতাংশের ওজন অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মোটা এবং অত্যাধিক ওজনের মানুষেরা বাস করছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমেরিকানদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি বলে মনে করছে সিডিসি।
নতুন এই সতর্কতা অনুযায়ী চার ভাগের তিন ভাগ আমেরিকানই করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
সিডিসির পদস্থ একজন চিকিৎসক ড. ব্রুক বিলে বলেছেন, এমন ঝুঁকি সম্পর্কে সব আমেরিকান সজাগ থাকবেন বলে আশা করছি। করোনাকে অবজ্ঞা-অবহেলা করা কখনোই উচিত হবে না। এখন থেকে প্রতিটি আমেরিকানকে খাবার গ্রহণে সজাগ থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধিও অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। ব্যায়ামে মনোযোগী হওয়া দরকার শরীরকে সুস্থ রাখতে। প্রয়োজন মতো ঘুমেরও বিকল্প নেই।
এই চিকিৎসক বলেছেন, অ্যাজমা, মস্তিষ্ক যন্ত্রণা, মলদ্বারের রোগীরাও ঝুঁকিমুক্ত নন। তবে বড় রকমের ঝুঁকিতে থাকেন ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগীরা করোনায় আক্রান্ত হলে।
সিডিসির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা মানুষের ওজন যদি ১২৫ থেকে ১৬৮ পাউন্ড হয়, তাহলে সেটি স্বাস্থ্যসম্মত। এর বেশি হলেই অতিকায় স্থূল ভাবতে হবে, যা করোনায় আক্রান্ত হলে বিপদের ঝুঁকি বাড়ায়।
গত আগস্টে ৭৫ রোগীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় ড. পপকিন দেখেছেন যে, অতিকায় স্থূল লোকজনকে অধিক হারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হবার আলামত দৃশ্যমান হবার পরই। তাদের প্রায় সকলকেই আইসিইউতে রাখতে হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ