ইলেমেন্টারি এবং হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পুনরায় ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে (সুপার স্প্রেডার) বলে যে ঢালাও অভিযোগ করা হচ্ছে তা আদৌ সত্য নয়। সেপ্টেম্বরের শেষার্ধে স্কুল খোলার পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ স্টেটের দু’লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ওপর পর্যবেক্ষণ জরিপে দেখা গেছে করোনা সংক্রমণের হার ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ০.১৩% এবং ০.২৪% হচ্ছে স্কুলের স্টাফের মধ্যে।
২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই জরিপ চালিয়েছে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক এমিলি ওস্টারের নেতৃত্বে একদল গবেষক।
জরিপ অনুযায়ী, খোলার দু’সপ্তাহের মধ্যে এক হাজার ছাত্র-ছাত্রীর স্কুলে সংক্রমণের হার হচ্ছে ১.৩%। অপরদিকে, ঐসব স্কুলের প্রতি এক হাজার স্টাফের করোনা টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে ২.২% এর। এর মাধ্যমে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে, স্কুল খোলার সাথে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাবার তেমন সম্পর্ক নেই। অথচ দূর-শিক্ষণের সময়েও এর চেয়ে বেশি ছিল সংক্রমণের হার-বলেছেন অধ্যাপক ওস্টার।
‘আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরলে এবং মাঝেমধ্যেই হাত ধুলে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও স্টাফের সকলেই নিরাপদ থাকতে পারেন’-এ পর্যবেক্ষণ জরিপে সেটি উদঘাটিত হয়েছে’ বলেছেন ওস্টার।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্তের হার বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। ৯৮ শিক্ষার্থী এবং ২০৭ জন শিক্ষকের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় নিউইয়র্ক সিটির জুইশ অধ্যুষিত ব্রুকলিন ও কুইন্সের বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্টেট গভর্নর এবং সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ১০ জনের বেশী মানুষ নিয়ে চার্চ/মন্দির/মসজিদ/সিনেগগে প্রার্থনা সমাবেশ না করার নির্দেশ অমান্যকারিদের ১৫ হাজার ডলার করে জরিমানা করা হচ্ছে।
নিউইয়র্কে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা স্বত্বেও গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কটি এলাকায় সংক্রমণের হার বেড়েছে দশমিক ৮৪ পার্সেন্টেরও কম থেকে ৫.৭% পর্যন্ত। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত শনিবার নিউইয়র্ক স্টেটে মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নিউইয়র্ক স্টেটে ২৫ হাজার ৫৭৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্টেটের চেয়ে এটি সবচেয়ে বেশি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর