৮ মার্চ, ২০২১ ১০:৪৩

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে ৭ মার্চের ভাষণের উপর আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি:

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে ৭ মার্চের ভাষণের উপর আলোচনা

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামরা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা প্রদত্ত ৭ মার্চের ভাষণ একটি জাতিকে কীভাবে বজ্রকঠিন ঐক্যের পতাকাতলে সমবেত করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণে উজ্জ্বীবিত করেছিল তা উঠে আসে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

অন্যান্য আলোচকগণ ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু, সুদূর প্রসারী প্রভাবের উপর আলোকপাত করেন। জাতির পিতার এই ভাষণে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একজন সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়কের সুচিন্তিত কৌশলের সবটুকুই প্রতিভাত হয়েছে মর্মে মন্তব্য করেন বক্তারা। 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভূক্ত করে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর